গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমি চাইলেন মেয়র আতিক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমি চাইলেন মেয়র আতিক

পরিকল্পিত শহরের জন্য বাজার, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরিতে জায়গার প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বহুল প্রচলিত ফোক গান ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই-এর কিছু অংশ গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবি তোলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীও করতালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানান।

রবিবার (৬ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।

মেয়র আতিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেন, কমপ্লেক্স করতে হবে। আমরা এখানে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, জোনাল কমপ্লেক্স করব। এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়ার্ড অফিস, লাইব্রেরি এবং কালচারাল সেন্টার। সেজন্য পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনাবিদদের সহায়তায় একটি বিশদ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

মেয়র আতিক বলেন, পরিকল্পিত শহর বলতে আমরা বুঝি- খেলার মাঠ, পার্ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল, কিচেন মার্কেট, কাঁচাবাজার, স্লটার হাউস, ক্যাটেল মার্কেট, সেনেটারি ল্যান্ড ফিল্ড, সেকেন্ডারি ট্রান্সফর্ম স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, গ্রেভিয়ার্ড, মসজিদ, উপাসনালয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এগুলো করতে আমাদের জায়গা লাগে। একটি গান আছে, ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি মালিক না, আপনি হলেন ঘরের মালিক। আমি করজোরে আপনাকে বলব, এই এলাকার জন্য যদি পার্ক করতে চাই, যদি ট্রাক স্ট্যান্ড করতে চাই, যদি খেলার মাঠ করতে চাই; নতুন এই ওয়ার্ডগুলোতে একটি জায়গাও সিটি করপোরেশনের হাতে নাই। এগুলো আছে প্রত্যেকটি সংস্থার কাছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, আপনি একটি শহর গড়বেন, এ জন্য নতুন এই ওয়ার্ডগুলো করেছেন। আপনি আমাদের জায়গা দিন, আমরা কথা দিচ্ছি, আমাদের নিজের খরচে সব করে নিতে পারবো।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই নতুন অঞ্চলকে উন্নত করতে সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে আপনি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

ওআ/