উখিয়ার বাবুল মেম্বারকে অস্ত্র-ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার করার অভিযোগ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১২ অপরাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৩


উখিয়ার বাবুল মেম্বারকে অস্ত্র-ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার করার অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলন। ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাফরুল ইসলাম বাবুলকে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার।  


গত ইউপি  নির্বাচনে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুলতান আহমদ এবং স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারিরা ষড়যন্ত্র করে র্যাবকে ভুল তথ্য দিয়ে এ গ্রেফতার নাটক সাজানো হয়েছে।  


পরিবারের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গত ৪ অক্টোবর উখিয়ার জামতলী এলাকা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন র্যাব বাবুলকে টেকনাফের কাটাখালী থেকে ৫৫ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার দেখায়। 


এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বাবুলের পরিবার।


রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুলের পরিবার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ করা হয়। 


লিখিত বক্তব্যে বাবুলের ভাই একরামুল কবির ও বোন শাহীনা আক্তার বলেন, বাবুল একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রীও এমবিবিএস পাস চিকিৎসক। এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। বাবুলকে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বলা হলেও তার বিরুদ্ধে বাস্তবে মাদক পাচারের কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা নেই। 


একরামুল কবির বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গিয়ে সোলতান আহমদ ও তার সহযোগীরা বাবুলে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অথচ সোলতানই তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী। সোলতানের বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। 


সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বাবুলের মেয়ে কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অনিমা ইসলাম অর্পা, চাচা হাফেজ জাকের হোসেন, বোন মনোয়ারা বেগম ও ফাতেমা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা।


গত ৫ অক্টোবর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি দল তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে গনমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন। র্যাবের দাবি, বাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ২১টি মামলা রয়েছে। বাবুল ২০০৫ সাল থেকে মাদক চোরাচালানে জড়িত। তার নেতৃত্বে প্রতিমাসে ৫০ লাখের উপরে ইয়াবা আনা হয় এবং শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। 


র্যাবের দেওয়া এ তথ্য মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করে বাবুলের পরিবার বলছে, তাঁর বিরুদ্ধে  জায়গা-জমি ও রাজনৈতিক ৩-৪টি মামলা রয়েছে। এতে মাদকের কোনো মামলা নেই। এ ব্যাপারে বাবুলের পরিবার প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 


টেকনাফ থানার ওসি মো. জোবায়ের ছৈয়দ বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে হত্যা,দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে। তবে আগের  মাদকের মামলা নেই বলে জানান ওসি।


আরএক্স/