পোড়াদহে সাকসেস ডিজিটাল স্টুডিওর আড়ালে চলছে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১৯ অপরাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৩


পোড়াদহে সাকসেস ডিজিটাল স্টুডিওর আড়ালে চলছে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি
সাকসেস কম্পিউটারের দোকান

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ হাসপাতাল মার্কেটে অবস্থিত সাকসেস ডিজিটাল স্টুডিও দোকানে আড়ালে চলছে নকল ও জাল সার্টিকিকেট ও জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে বিক্রির ব্যবসা। 


টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে হুবহু আসলের মত দেখতে জাল লাইসেন্স। প্রতিটি জাল সার্টিফিকেট ও জাল লাইসেনশ করতে নেওয়া হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা করে। 


সাকসেস কম্পিউটারের দোকান মালিক রফিকুল ইসলাম নিজের হাতেই সুদক্ষভাবে এসব জাল সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করছেন। এসব জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে অনেকেই পারি জমাচ্ছেন প্রবাসেও। অনেক অপ্রাপ্ত বয়সের যুবকদের হাতেও তুলে দেওয়া হচ্ছে এসব জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোড়াদহ হাসপাতালে মার্কেটের দক্ষিন পার্শ্বে সাকসেস ডিজিটাল স্টুডিও নামের সাইনবোর্ড যুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দোকানের সাইনবোর্ডে  উল্লেখ রয়েছে এখানে সকল প্রকারের মেমো, প্যাড, স্টিকার ইত্যাদি কাজ করা হয়।


এছাড়াও ই-পাসপোর্টের আবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,আর্জেন্ট ফটো,কালার ফটোকপি,লেমিনেটিং,সহ অনলাইনের যাবতীয় কাজ সেখানে করা হয়। তারই অন্তরালে এসব জাল লাইসেন্স তৈরি করে রফিকুল ইসলাম। এসব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেদক সহ কয়েকজন সাংবাদিক একটা জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে দোকান মালিক রফিকুল ইসলাম ১৫০০ টাকা চুক্তি করে কাজ শুরু করে দেয়। লাইসেন্স রেডি করার পর প্রিন্ট দেওয়ার পর সাংবাদিকরা বিষয়টি হাতে নাতে প্রমান করে ফেলে। যখন তিনি সাংবাদিকের উপস্থিতি বুঝে ফেলেন তাৎক্ষনিকভাবেই তিনি তার হাতে থাকা কাচি দিয়ে তেরি করা জাল ড্রাইভিং লাইসেন্সটি কেটে ফেলার চেষ্টা করেন এবং অর্ধেক কেটেও ফেলেন। পরে দোকান মালিক রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের ফন্দি ফিকির শুরু করে দেয়। 


প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। বিভিন্ন মানুষ দিয়ে সুপারিশও করান। এভাবেই প্রতিনিয়ত জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার কারনে বিআরটিএ থেকে আসল লাইসেন্স না নিয়ে এখান থেকেই লাইসেন্স সংগ্রহ করছে অনেক অপরাধীরা। 


অভিযুক্ত সাকসেস ডিজিটাল স্টুডিওর দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য কিছু লোক আমার কাছে আসে। তাদের অল্প কিছু টাকা নিয়ে আমরা এগুলো করে দেই। শুধু মাত্র আসল ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে নাম, ঠিকানা আর ছবি পরিবর্তন করে দেই। তাছাড়া সব কিছু ঠিকই থাকে। একথা বলার পর প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকদের দোকানের পিছনে পর্দার আড়ালে ডেকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। 


কুষ্টিয়া বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আতিকুল আলমের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রশাসনের সাথে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরএক্স/