মাছ ধরে জাইল্লারা চাল পায় হাইল্লারা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৯ অপরাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৩


মাছ ধরে জাইল্লারা চাল পায় হাইল্লারা
ছবি: জনবাণী

আজ মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে বন্ধ থাকবে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ শিকার। ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য আগামী ২২ দিন মাছ ধরার উপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় মাছ পরিবহন, মজুদ, ক্রয় বিক্রয় ও বাজারজাত করন বন্ধ থাকবে। এ আইন অমান্যকারী ১ বছর থেকে সবোর্চ্চ ২ বছরের সবোর্চ্চ কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। ইতিমধ্যে গভীর সাগর থেকে পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুরের পোতাশ্রয় খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ট্রলারে বেলুন কাগজের ফুল সাজিয়ে সাউন্ডবক্স সহ আনন্দ উল্লাসে আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের আগ্রাসন বন্ধ সহ প্রনোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে জেলেরা। তারা প্রকৃত জেলে হওয়া সত্বেও তাঁরা চাল না পাওয়ার ক্ষোভ যাচাই বাছাই করে চাল দেওয়ার দাবী জেলেদের। 


মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজনন, ইলিশসহ সকল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ২২দিনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। আশ্বিনের পূর্নিমার শেষ সময়ে গভীর সাগর থেকে উপকূলীয় নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। প্রজননের এ সময়কে বাধাঁহীন করতে  মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে মাছের উৎপাদন বাড়ায় খুশী জেলেরা। তবে কর্মহীন এসময়ে জেলে প্রতি ২০কেজি করে দেয়া চালের প্রনোদনা বাড়ানোসহ আবরোধকালীন সময়ে প্রদানের দাবী জেলেদের। 


জেলেরা জানান,এই বছরে এমনিতেই অনেক লোকসানে আছি ধারদেনা করে কোন মতে বেঁচে আছি ৬৫ দিনের অবরোধ অনেক কস্ট হয়েছে পরিবারকে নিয়ে। অড়তদারও অনেক টাকা পাওনা তবুও মাছ ইলিশ রক্ষায় আমরা প্রতি বছরের সরকারের কথা মেনে ঘাটে থাকি। কিন্তু আমাদের নামের জেলে চাল আমরা প্রকৃত জেলেরা পাইনা অন্য পেশার মানুষরা চাল নিয়ে যায় আমাদের সামনে থেকে।  জেলেরা আরও ক্ষোভ করে বলেন মাছ ধরে জাইল্লারা চাল পায় হাইল্লারা এমন হলে আমরা খাবো কি।


এই বিষয় মৎস্য কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ প্রকৃত জেলেদেরকে চাল দেওয়া হোক এই ২২ দিনের অবরোধ কালীন সময়ে। 


জেলেদের প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী ব্যবসায়ীদের। রাজু আহম্মেদ রাজা, সাধারণ  সম্পাদক  মহিপুর মৎস্য  আরতদার মালিক (সমিতি) তিনি বলেন, এই অবরোধে জেলেদের জীবন খুব কস্টে কাটে তবুও মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেন জেলেরা। তাদের কে এই অবরোধ কালীন সময়ে জেলে চাল সহ সকল সুবিধা দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি, পাশাপাশি সমুদ্রে অন্য কোন দেশ থেকে এসে মাছ ধরতে না পাড়ে সেই দিকে প্রশাসনের নজর রাখার অনুরোধ করছি।


মোল্লা এমদাদ্যুলাহ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বলেন, পটুয়াখালী অবরোধ সফল করতে প্রচারনাসহ জেলে-ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। জেলায় নিবন্ধিত ৬৭,৮৪৮জন জেলের মধ্যে প্রায় ৫৮হাজার ইলিশ শিকারী পেয়েছে অবরোধকালীন সরকারী প্রনোদনা।  চলতি বছর শতভাগ ইলিশ শিকারী জেলেদের প্রনোদনা দেয়া হয়েছে।



আরএক্স/