ডাকাতের আঘাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন ১২ জেলে!
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪২ অপরাহ্ন, ১২ই অক্টোবর ২০২৩
ভোলার চরফ্যাশনের মেঘনায় ইলিশ ধরার সময় ট্রলারে ডাকাতের আঘাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অবশেষে প্রাণে বাঁচলেন ১২ জেলে। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মাছ সহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার অন্যান্য সরঞ্জামাদি। তবে নৌকার মধ্যে পালিয়ে থাকা ১১ জেলেকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২টায় গভীর সমুদ্রে তিনচর ও হাতিয়াচর এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতির হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের আলমগীর মাঝির ট্রলারের মো. খায়ের (৩৫), মো. অজিউল্লাহ (৫৫), মো. নুর আলম (৩২), মো. খোকন (৩৫), মো. ফয়সাল (২৮), আ. খালেক (৬০), ও মো. মিন্টু (৩৫); লালমোহন উপজেলার ধুলিগৌড় নগর ইউনিয়নের আক্তার মাঝির ট্রলারের মো. নুরনবী (৪০), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), মো. জলিল (৫৮) ও মো. আকতার (৪০)।
গুরুতর আহত জেলে নূর নবী জানান, আমাদের ট্রলারে ১৬ জন জেলে ছিল। ডাকাতরা আক্রমণ শুরু করলে তাদের হাত থেকে বাঁচতে মার খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় ১৫ জেলে। আমি ইঞ্জিন রুমে পালিয়ে ছিলাম। আমাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে এবং আমাদের ট্রলারে থাকায় মাছ ও সরঞ্জামাদি নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মাছ ধরে আসার সময় হাতিয়ার চর এলাকায় নোঙর করা অবস্থায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের বোটের নাম মেসার্স আনোয়ারা।
অপরদিকে আহত আলমগীর মাঝি জানান, আমার ট্রলারে ১২ জন জেলে ছিল। ডাকাতের হামলা থেকে বাঁচতে সবাই নদীতে ঝাঁপ দেয় কিন্তু ভাগি মিন্টু ঝাঁপ না দিতে পারায় তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। তাদের ট্রলার থেকে ইলিশ জালসহ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামালা নিয়ে যায়। তাদের তিনচর এলাকা নামক স্থানে ডাকাতি করে।
আলমগীর মাঝি আরও জানান, অন্য ট্রলার থেকে তেল নিয়ে তারা সামরাজ ঘাটে যান।
চরফ্যাশন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শায়লা আমিন বলেন, ডাকাতের হামলা আহত জেলেদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেঘনা-হাতিয়ার সীমান্তে জলদস্যুরা জেলেদের ওপর হামলা চালায় এতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরএক্স/