কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে দুই দিনের সুপণ্য শুটকি মেলা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫০ অপরাহ্ন, ১৩ই অক্টোবর ২০২৩


কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে দুই দিনের সুপণ্য শুটকি মেলা
সুপণ্য শুটকি মেলা

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে নিরাপদ শুটকি উৎপাদনকারী উদ্যেক্তা তৈরি ও প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন   সংগ্রাম'র ব্যবস্থাপনায়  সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প (এসইপি)'র উদ্যোগে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে  সুপণ্য মেলা -২০২৩ শুরু হয়েছে। 


শুক্রবার (১৩ অক্টোবর ) বেলা ১১টায় কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনের মেলার উদ্বোধন করেন৷ 


এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার,  সংগ্রামের সিনিয়র পরিচালক মো. ইউসুফ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, কুয়াকাটা টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা শুটকি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ প্রমূখ।


মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা ৬টি স্টলে তাদের উৎপাদিত শুটকির পশরা সাজিয়েছেন ।  নানা প্রজাতির শুটকি তারা নিয়ে আসছেন। এসব শুটকির মধ্যে রয়েছে লইট্টা, বোল, ইলিশ,চিংড়ি, সোনা পাতা, ছুরি, সুরমা, মলা, ফাইস্যা, বাঁশ পাতা, চ্যাপা, কাচকিসহ নানা ধরনের শুটকি।


কুয়াকাটা শুটকি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক  মো.  সোহেল মাহমুদ বলেন, আমরা এ মেলাটি মূলতঃ আয়োজন করছি আমাদের শুটকি কেমিক্যাল মুক্ত এটা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারব৷ পর্যটকরাও কম টাকায় মেলা থেকে শুটকি ক্রয় করতে পারবে।


শুটকি ব্যবসায়ীরা বলেন, কুয়াকাটার শুটকি নিরাপদ ও প্রাকৃতিক উপায় তৈরি করা হয়। এটা সবার মাঝে জানান দিতে এ আয়োজনটি সুন্দর হয়েছে।  সারা বছর এখানকার শুটকির চাহিদা থাকে। এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুটকির গুণাবলি জানতে পারবে সবাই।


মেলায় আসা পর্যটক মো.খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা মেলায় থেকে কম টাকায় শুটকি ক্রয় করেছি। এর আগেও আমি কুয়াকাটার শুটকি খেয়েছি  এখানকার শুটকি অনেকটাই বিশমুক্ত।


এসইপির রিপোর্টিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার সজল মিত্র বলেন, প্রকল্পের উদ্দোক্তারা  তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণাবলী  ও আধুনিক পদ্ধতিতে শুটকটি উৎপাদন করেন সেগুলো তুলে ধরবেন পর্যটকদের কাছে। 


সংগ্রামের সিনিয়র পরিচালক মো. ইউসুফ বলেন, আমরা দুই বছর ধরে বিশমুক্ত শুটকি উৎপাদন করার পদ্ধতি শিখানোর চেষ্টা করছি। এই মেলার মাধ্যমে  বিশমুক্ত শুটকি লোকজন ক্রয় করতে পারবে।


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,  আয়োজনকারীদের অশেষ ধন্যবাদ।  স্থানীয় পণ্যের গুণাবলী ও বিশমুক্ত শুটকি উৎপাদন করার ফলে মানুষের মাঝে চাহিদা বাড়ছে। এটা বজায় থাকুক। তিনি আরো বলেন শুটকি যেন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যায়।


আরএক্স/