ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকদের কর্মবিরতি: ভোগান্তিতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:১২ অপরাহ্ন, ১৪ই অক্টোবর ২০২৩
ক্যাডার বৈষম্য, পদন্নতিসংক্রান্ত ও ছুটি বিষয়ক বিভিন্ন দাবিতে টানা কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আবারো সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর আবারো দুই দিনের কর্মসূচির পালনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
বিসিএস শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তায় পড়েছে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত সময়ে ক্লাস- পরীক্ষা না হওয়ার সেশনজটের অভিযোগ রয়েছে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। শিক্ষকদের এ আন্দোলনের ফলে সে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজর অনার্স ৩ ও ৪র্থ বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ ও ১৯ অক্টোবর। কিন্তু শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচির ফলে যথাসময়ে পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অনার্স ৩ বর্ষের পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে পিছিয়ে ১৭ অক্টোবর করা হয়। উক্ত কর্মসূচির ফলে ১৭ অক্টোবরের পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা পিছিয়ে যাবে।
৭ কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষার্থীবান্ধব ও শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন সাত কলেজের নানা সংকট ও সেশনজট সমস্যার মধ্যে পরীক্ষার সময়ে কর্মবিরতি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য তা হবে আরেকটি দুঃখজনক ঘটনা। বারবার রুটিন পরিবর্তন হলে তা আমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি ও একাডেমিক রেজাল্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে আমাদের শ্রদ্ধেয় অভিভাবকগণ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে বলে আশা করছি।
তিতুমীর কলেজের অর্পিতা জাহান বলেন ওনারা(শিক্ষকরা) কর্মবিরতি দিয়ে ক্লাস অফ রাখবে, আমরা পর্যাপ্ত ক্লাস না পেয়ে পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করলে তখন স্টুডেন্টদের দোষ দিবে।
ইডেন মহিলা কলেজ শিক্ষার্থী ফারহানা আনিকা বলেন তারা(শিক্ষক) নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের আর সময় পায় না। পরীক্ষার সময়গুলাই বেছে নেয় কেন?
সরকারি বাংলা কলেজ শিক্ষার্থী নোমান বলেন ১৭,১৯ তারিখ পরিক্ষা না হলে ২০-২৮ তারিখ পুজোর বন্ধ। এক্সামগুলো ডিসেম্বরে যাবে, এতে কি পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকরা কি বুঝতেছেনা? উনারা কি উদ্দেশ্য করেই ১৭, ১৯ তারিখ বেছে নিলেন।
পরীক্ষার বিষয়ে ৭ কলেজের সম্বন্বয়ক ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য জানান নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মবিরতির জন্য পরীক্ষা স্থগিত করা হবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দুই একদিনের ভিতরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বিসিএস শিক্ষকদের গত ১২ অক্টোবরের কর্মবিরতির ফলে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ১ বর্ষের ১টি কোর্সের পরীক্ষা ২ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরএক্স/