বেড়ায় প্রেমিকার বাড়ি থেকে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, ১৮ই অক্টোবর ২০২৩


বেড়ায় প্রেমিকার বাড়ি থেকে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

পাবনার বেড়া উপজেলার বেড়া পৌর এলাকার বেতবাড়িয়া গ্রামের জাকির হোসেন জিকরুলের বাড়ি থেকে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বিকাশ হালদার (১৫) নামের এক কিশোরের  লাশ উদ্ধার করেছে বেড়া মডেল থানা পুলিশ। 


নিহত বিকাশ হালদার বেড়া পৌর সভার বনগ্রাম মহল্লার ধনী হালদারের ছেলে। বেড়া থানা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , বিকাশ হালদার ও বেতবাড়িয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে জেরিন আক্তার (১৪) বেড়া সরকারি  বিবি হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। দুইজন দুই ধর্মের অনুসারি হওয়ায় এ সর্ম্পক নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়।  


দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকার একপর্যায়ে ঘটনার আগের দিন  মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যেকোনো সময় প্রেমিক বিকাশ হালদার প্রেমিকা জেরিন আক্তারের বাড়িতে যায়।  বুধবার ভোরে বিকাশের মৃতদেহ ঘটনাস্থল জাকির হোসেনের বাড়ির গ্রীলের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় এবং আশেপাশের লোক জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে  বেড়া মডেল থানা পুলিশ  ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকা সহ তাঁর পরিবারের লোকজনকে থানায় নেওয়া হয়।

 

প্রেমিকা জেরিন জানায়, রাতে বিকাশ আমার ঘরে এসে প্রেমের সর্ম্পকে ফিরে আসার কথা বললে আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। এ সময় সে পাগলামো শুরু করলে আমি তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘুমিয়ে পরি। ভোরে গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়ায় অবস্থায় বিকাশকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।

 

ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে বিকাশের বাবা ধনী হালদার জানান, তার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তিনি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।

 

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত কিশোর বিকাশ হালদার প্রেমের ঘটনায় প্রেমিকার সাথে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে হয়তো আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হত্যা না আত্মহত্যা কোনোটাই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছেনা।

 

এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই এ প্রতিবেদককে জানান, লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত এবং জখমের চিহ্ন ছিলে।


আরএক্স/