‘আমগর চেয়ারম্যান, মেম্বর বাইচ্চা থাইক্কাও মইরা গেছে’
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৩ অপরাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৩

ময়মনসিংহের ত্রিশাল-ধানীখোলা সড়কের দুটি অংশ ভেঙ্গে খালের রুপ ধারন করেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে।
জানাযায়, গত দেড় বছর আগে ত্রিশাল পৌর সিমানা থেকে ধানীখোলা বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা। দেড় বছরেই সড়কের দুটি অংশে গত ৫ অক্টোবর ভারী ভর্ষনে পানির ঢলে সড়ক ভেঙ্গে খালের মত তৈরী হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহ পেরুলেও সড়[ক সংস্কারে নেই কোন উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখাযায়, ৩ কিলোমিটার পাঁকা সড়কে ধানীখোলা মধ্য দক্ষিন ভাটিপাড়া এলাকায় সড়কের দুটি অংশ ভেঙ্গে খালের রুপ ধারন করেছে। গত ৫ অক্টোবর ভারী ভর্ষনে পানির ঢলে সড়কের দুটি অংশ ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুই সপ্তাহ ধওে বন্ধ রয়েছে। পরিবহন না চলার কারনে ঐ এলাকার জনগনদেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যের বাড়ীর উঠান ব্যবহার কওে রিকসা, ভ্যানসহ পেয়ে হেটে চলছে মানুষ। স্থানীয়রা লাল নিশানা দিলেও এই দুটি ভাঙ্গনে প্রতিদিন ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। এতে স্থানীয় জনগত ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের প্রতি বিরুপ মন্তব্য করছেন।
স্থানীয় ভোক্তভোগী কয়েকজন জানান, নতুন সড়ক হয়েছে এক বছর এর মধ্যেই বড় দুটি ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ভাংছে ১৫ দিন হইলো এখনো চেয়ারম্যান, মেম্বরের ঠিক করার কোন উদ্যোগ নাই। আমগর চেয়ারম্যান, মেম্বর বাইচ্চা থাইক্কাও মইরা গেছে। তারা বাইচ্চা থাকলে আমগর কষ্ট বুঝতো। আমরা চলতে পারতেছিনা। কবে ঠিক হবে তাও জানিনা। গাড়ী চলাচল একবাওে বন্ধ হয়ে গেছে। বাজার থেকে কিছু কিননা আনলে কান্দ কইরা আনা লাগতেছে। আমরা সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই।
স্কুল শিক্ষার্থী মারিয়াম আক্তার জান্নাত, ইশমাত আরা যুথি বলেন, সড়ক ভাংছে আজকে অনেক দিন। মেরামত করার কোন খোঁজ খবর নাই। কোন গাড়ী এ সড়ক দিয়ে চলে না। আমাদের স্কুলে প্রতিদিন ভাংগা পাড়ি দিয়ে হেটে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। রিকসা. ভ্যান অন্যেও উঠান দিয়ে গেলেও অনেক সময় উল্টে পড়ে অনেকেই আহত হচ্ছে।
ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ সোহেল বলেন, সড়কের দুটি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় আমার ইউনিয়নের জনগনের অনেক কষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত পানির ঢলের কারনে সড়কের দুটি অংশ মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান জন্য অবগত করেছি। উনারা বিষয়টি দেখছে। তিনি আরও বলেন, এ সড়ক ভাঙ্গার পিছনে আমরা নিজেরাই দায়ী। পানি নিষ্কাষনের কালর্ভাটের মুখে বাধ দেওয়ার ফলে সড়কের দুটি অংশ ভেঙ্গে গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সড়কের দুটি জায়গা ভেঙ্গে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। আমি ইস্টিম্যাট কওে স্লংশিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। বিল পাশ হয়ে আসলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সংস্কার কাজ করা হবে। আমারা দ্রুতই চেষ্টা করছি সমাধানের।
আরএক্স/