বেতাগীতে রঙিন সাজে দেবী দুর্গা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৩


বেতাগীতে রঙিন সাজে দেবী দুর্গা
রঙিন সাজে দেবী দুর্গা

সাদা মেঘের ভেলা আর দিগন্ত জুড়ে কাশফুল জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনের কথা। তবে নিজেদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে উদ্বেলিত দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়।


ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুক্রবার রাতে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরইমধ্যে প্রতিমাগুলো রং দিয়ে প্রস্তুত করে রেখেছে মৃৎশিল্পীরা। অন্য দিকে বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে মন্দিরের চারপাশ। সব খানেই বইছে উৎসবের আমেজ।


পৌর এলকার বাসিন্দা সনাতন ধর্মাবলম্বী বিমল দাস জানান, তাদের মধ্যে পূজোর কেনা কাটা শেষের দিকে গেলেও। তবে এখনো  বেতাগী পৌর শহরের মার্কেটে পূজোর কোনাটার ধূম লেগে আছে।


উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, বেতাগী উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের মোট ৩৭ টি মন্ডপে এবারে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বেতাগী পৌরসভায় রয়েছে ৩টি আর ৩৪টি রয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। ইতোমধ্যে এ সকল মন্ডপ দুর্গাপূজার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।


সরেজমিনে পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, আয়োজকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। এখন দ্রুতগতিতে শেষ করছে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জাসহ দুর্গোৎসবের যাবতীয় কাজ। মন্ডপে মন্ডপে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। স্বেচ্ছাসেবক অমল দাস বলেন, সার্বিকভাবে উপজেলার সব জায়গাতেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা প্রশাসনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে।


পূজা উদযাপন কমিটির বেতাগী উপজেলা শাখার সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, এখন মন্ডপেরও চারপাশ সাজানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। নির্ভিঘেœ ও নিরাপদে যাতে পূজা উদযাপন করা যেতে পারে এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।


বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মন্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মন্দিরেই পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম থাকবে। র‌্যাবের মোবাইল টিমও মাঠে থাকবে।


বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমদ বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে সভা হয়েছে। পাশাপাশি  একাধিক পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছি। মন্ডপপ্রতি ৫০০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আশা করি এখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সাথেই নিরাপদে পালন করতে পারবেন এবং দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।


আরএক্স/