মা ইলিশ রক্ষায় ভোলায় জেলা প্রশাসক অভিযান পরিচালনা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩০ অপরাহ্ন, ২৯শে অক্টোবর ২০২৩
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্বে অর্থ যোগান দেয় জাতীয় মাছ ইলিশ থেকে। তাই ইলিশ রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান সময়ে চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম। সেই উপলক্ষে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোলা জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে দুপুর পর্যন্ত। এসময় মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। পরে জালগুলো ঘাটে পুড়িয়ে ফেলা হয় ও মাছগুলো স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান-এর নেতৃত্বে অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান, ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: মাহফুজ হাসনাইন, ভোলা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী অভিতাভ রায় অপুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান রামদাসপুর নদীর পাড়ে জেলেদের সচেতন করতে বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ইলিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে, এই ২২ দিন ভোলা জেলায় ইলিশ ধরা,বিক্রয়, সংরক্ষণ, মজুদ, পরিবহন করা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ করেন। প্রাকৃতিক সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধু জেলে নয়, সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি মা ইলিশ রক্ষা করা মানে ১৫ থেকে ২৫ লাখ ইলিশ মাছ রক্ষা করা। তাই এই মুহূর্তে যদি আমরা একটু সচেতন হই এবং মা ইলিশ নিধন না করি তাহলে আগামীতে এর সুফল আমরা পাব এবং ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঘাটে আসবে। সে ক্ষেত্রে ইলিশের দাম অনেক কমে যেতে পারে। আর দাম কমলে আমরা সবাই মিলেমিশে ইলিশ খেতে পারব।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস বিভাগের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৯৪টি মোবাইল কোর্ট করেছি ৩৩৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযান পরিচালনা করে ১৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেওয়া হয়েছে এবং ৭২জনকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সফলভাবে এখন পর্যন্ত অভিযান চলছে। অভিযান শেষে জেলেরা ব্যাপক পরিমান ইলিশ পাবে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা। জেলায় নিবন্ধিত জেলে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে চাল বরাদ্ধ পেয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার জেলে।
আরএক্স/