হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪১ অপরাহ্ন, ১লা নভেম্বর ২০২৩


হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে
ছবি: জনবাণী

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকান্ডের ঘটনায়  ৮ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছে আদালত।


বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার  করে ডিবি পুলিশ।   


গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরেফিসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 


এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। ওই দিন বেলা সাড়ে ১২ টা  দিকে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাই মোড় থেকর আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশেরর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বেলা ৩ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষনা করেন।


এজাহারে বাদি বলেন, বিএনপির ওই কর্মকান্ডের পর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে আসামি মিয়ান আরেফি,  হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মীসহ কিছু সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে ১ নং আসামি মিয়ান আরেফি নিজেকে যিক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় প্রদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে  তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে ১ নং আসামি মিয়ান আরেফি বক্তব্যে দাবি করেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন যে, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।


এজাহারে বাদি আরো অভিযোগ করেন যে, ২ নং আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নং আসামি ইশরাক হোসেন তাকে (১ নং আসামিকে) মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগ্রিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উস্কানি দেন।  ১ নং আসামি অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ওই সংবাদ সম্মেলনে এক পর্যায়ে  ১ নং আসামির বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে।


জেবি/এসবি