কালীগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়সীমার বাইরে বিপাকে সাধারণ মানুষ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৩


কালীগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়সীমার বাইরে বিপাকে সাধারণ মানুষ
ছবি: জনবাণী

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়সীমার বাইরে। লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী। এতে নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেড়েছে। কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানের দ্রব্যাদি যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই আসছে না।


উপজেলার জামালপুর বাসাইর বাজার, দোলান বাজার, নরুন বাজার, নাগরী বাজার, আওড়াখালি বাজারসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে সাধারন ক্রেতারা।


কালীগঞ্জ বাজারের স্বনামধন্য হোটেল ব্যবসায়ী কাউন্সিলর বাদল হোসেন ভূইয়া প্রতিবেদককে জানান, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গোল আলু পাল্লা ২৯০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে হোটেলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি না করে পারছিনা।


বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ নাজমুল ইসলাম জুয়েল প্রতিবেদককে জানান, এই বাজারে অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা প্রচুর পরিমানে তরিতরকারী বাজারে আমদানী হলেও নিত্যপন্যের দাম কমেনি। তবে কৃষকের নিকট থেকে পাইকাররা ক্রয় করার কারনে পাইকাররা তখন সকল জিনিষের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে দ্রব্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। তিনি আরোও জানান এই বাজারে প্রতিদিন সকালে গাভীর দুধের বাজার বসে। প্রতি কেজি গড়ে ৬০ হতে ৭০ টাকা দরে দুধ পাওয়া যায়। এখান হতে প্রায় দশ মন দুধ রাজধানী ঢাকা শহরে পাইকারদের মাধ্যমে সরবরাহ হয়।


সরেজমিনে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌর বাজারে দাম বেড়েছে মাছ, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজির। বাজারে আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশী আদা ৩৮০ টাকা, দেশী রসুন ২৪০ টাকা, চীনা রসুন ১৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, খোলা চিনি ১৩৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে।


পৌর এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী শাজাহান মিয়া  জানান, ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম ৩২০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০ টাকা ও কক বা লেয়ার ৩৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৫৫ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১শত থেকে ১২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


বাজারে মাছের দামও চড়া। ইলিশ ১০০০, বড় রুই ও কাতল প্রতি কেজি ৩৮০-৪২০ টাকা, বড় তেলাপিয়া মাছ ২০০- ২২০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৪০০ দেশি ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ৩০০, পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৬০০টাকা, চিংড়ি (বড়) ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম বাজার এলাকার খুচরা মুদি দোকানদার মোঃ এমরান হোসেন বলেন, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সকল পণ্যের দাম বাড়লেও এখন তো আর যুদ্ধ নেই। তবে স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।


আরএক্স/