কচ্ছপের গতিতে চলছে দেশের ইন্টারনেট
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৩
উন্নয়ন আর উন্নয়ন যে দিকেই তাকাই চারিদিকে শুধু উন্নয়নের চিত্র। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল, পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রকল্প কি নেই আমাদের?
বর্তমানে যা নেই তা হল, ইন্টারনেটের গতি। কচ্ছপের গতিতে চলছে দেশের সবচেয়ে ব্যবহৃত সম্পদ ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ভোগান্তি যেন কমছেই না গ্রাহকদের। গত ২৪ অক্টোবর শুরু হওয়া ইন্টারনেটের ধীরগতি, এখন পর্যন্ত ভোগাচ্ছে গ্রাহকদের। সাবমেরিন কেবল সংস্কারের কারণে দেশজুড়ে গতি কম ইন্টারনেট পরিষেবার।
গত ২৪ অক্টোবর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই খাজা টাওয়ারেই ছিল দেশের সব টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের ভূগর্ভস্থ কেবল।
ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) সঙ্গে যুক্ত ভূগর্ভস্থ কেবল কাটা পড়ায় ব্যান্ডউইথ সরবরাহ কমে গেছে। এতে দেশজুড়ে ইন্টারনেটে গতি কমেছে। এ নিয়ে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) কে দায়ী করা হলেও তারা দায় নিতে রাজি নয়।
এ অগ্নিকান্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ভূগর্ভস্থ এসব কেবল। তারপর থেকেই চলছে ইন্টারনেট ব্যবস্থার এমন দুর্গতি।
তবে, এই অবস্থা থেকে অনেকটাই কেটে উঠছিলেন ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা। কিন্তু আবারও শুরু হয় ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের দুর্ভোগ। খাজা টাওয়ারে ডেটাসেন্টার, আইসিএক্স আইআইজিসহ বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অগ্নিকান্ডের পর ১৫তলা ভবনটি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এক দিনের একটি ভবনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এই অবস্থা দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থার। এই ঘটনার এক সপ্তাহেরও বেশী সময় কেটে গেলেও এখনো ইন্টারসেবা ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের থেকে ইন্টারনেটের গতিতে কতটা পিছিয়ে আমরা? বিশ্বের ১২১টি দেশের ডিকিউএল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে সাজানো সার্ফশার্কের ডিকিউল সূচক হতে জানা যায়, বাংলাদেশের ফিক্সড ইন্টারনেটের গড় গতি ৫৩ এমবিপিএস এবং মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি মাত্র ২০ এমবিপিএস। উভয় মাধ্যমে গড়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৭৩ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে ভারত।
আরএক্স/