ইলিশে ভরপুর মৎস্য বন্দর, হাঁকডাকে হিজড়ারা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০০ অপরাহ্ন, ৭ই নভেম্বর ২০২৩


ইলিশে ভরপুর মৎস্য বন্দর, হাঁকডাকে হিজড়ারা
ছবি: জনবাণী

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর কেজিতে ইলিশ মাছের দাম কমেছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।


বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) থেকে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে আলিপুর মহিপুর  বাজারগুলোতে সরবরাহ বেড়েছে ইলিশ মাছের তবে জোগান বাড়লেও দাম সেভাবে কমেনি।


মৎস্য বন্দরে সকাল থেকেই হাঁকডাকই বলে দিচ্ছিলো অবরোধ কাটিয়ে খুশি মনে মাছ বিক্রি করেছিলো জেলেরা। তবে ব্যতিক্রম ছিলো এবারের মাছ বিক্রি হিজড়ারা সর্দারের ভূমিকায় ডাক তুলছেন ক্রেতারাও ভীর জমিয়ে খুশি মনে মাছ কিনছেন তাদের কাছ থেকে। এতে ১২শ ১৫শ টাকা লাভ করছেন দিন শেষে তাদের কাছেই বেশি ক্রেতার দেখা মিলেছে।


এখনও এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩শ, টাকায়, আর এক কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭শ টাকায়। ৫০০ থেকে ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ৬শ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে,


মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) কলাপাড়া উপজেলার দ্বিতীয় মৎস্য বন্দর আলিপুর, মহিপুর, এবং কুয়াকাটা, বাবলতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ইলিশে ভরপুর।


বিক্রেতারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর কেজিতে ইলিশ মাছের দাম কমেছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।


মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী মাহতাব হাওলাদার বলেন , "ইলিশের সরবরাহ ভালো। ঠিক মত বাজারজাত করতে পাড়লে জেলেরা লাভবান হবেন। তিনি বলেন, 'আগে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি করতাম ১৭০০-১৮০০ থেকে টাকা। এখন বিক্রি করি ১৪০০ টাকায়।


মাছের সরবরাহ বাড়ার পর বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন , "আজকে ১০০ কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি করেছি। সরবরাহ আরও বাড়বে। এতে মাছের দাম আরও কমে যাবে।"


মহিপুর স্থানীয় ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী আলামিন, তিনি প্রায় ৬ কেজি ইলিশ মাছ কিনেছেন। ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের এ মাছ প্রতি কেজি ১৫৫০ টাকা দরে কিনেছেন।


রিয়াজ বলেন, "মাছের দাম কমেছে এ খবর শুনে বাজারে এসেছি। বাজার ভর্তি ইলিশ মাছ, কিন্তু সেই তুলনায় দাম তো কমাচ্ছে না বিক্রেতারা।"


"আগের চেয়ে কিছুটা কম হওয়ায় কিনে রাখলাম, ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাবো," বলেন তিনি।


তবে কিছুটা দাম কমলেও নিম্ন আয়ের মানুষের কেনার নাগালের বাইরেই থাকছে ইলিশ মাছ। আলিপুর  বাজারে কথা হয় আটো চালক আবুবকর মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, "আমাদের ইলিশ মাছ দেখেই যেতে হয় কেনার সামর্থ নেই।"


প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন জানিয়ে তিনি বলেন, "এই টাকা দিয়ে খুব কষ্টে চার সদস্যের পরিবার চালাই। কম দামে চন্দনা ইলিশ খেয়েই আমাদের ইলিশের স্বাদ নিতে হয়।


আরএক্স/