শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী খাবেন?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২৩
শীতের সময় বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা যায় মানুষের শরীরে। এ সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় । একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
শীতের শুরু থেকে ছোটদের তো বটেই বড়রাও ছোট-বড় নানা রোগে পড়েন। বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও ভাইরাস জ্বরের মতো রোগে আক্রান্ত হন।
তাই এ সময় সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যতটা সম্ভব বাড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এজন্য পাতে রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। কিছু খাবার আছে যা শীতের সময় খাওয়া উচিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য:-
টকদই খাবেন
উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান টকদইয়ে। যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই ক্ষতিকর জীবাণু নিঃশেষ হয়ে যায়। একই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক বাড়ায়।
টকদইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। তাই পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। তাই শীতকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিনে এক বাটি করে টকদই খেতে ভুলবেন না।
মাশরুম খাবেন
মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাশরুম খুবই উপকারী খাবার। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি আছে।
ফলে শরীরে সেলেনিয়াম নামক একটি উপকারী উপাদানের কারণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে নানাবিধ ক্ষতিকর জীবাণুকে দূরে রাখে। তাই শীতে রোগ-ব্যাধি দূরে রাখতে বেশি বেশি মাশরুম খেতে পারেন।
প্রোটিন যুক্ত খাবার খান
শরীরের পেশী উন্নত করে প্রোটিন যুক্ত খাবার। শীতকালে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো অধিক জরুরি। কারণ এ উপাদানটি শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন অনেক বাড়িয়ে দেয়।
ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে ও অসুস্থতার ঝুঁকি কমে। শীতকালজুড়ে ডাল, ছোলা ও সিমের মতো খাবার নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি বিফ, মাটন অথবা চিকেনের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারও খেতে পারেন।
মসলা চা খাবেন
ইমিউন বুস্টার হিসেবে কাজ করে এক কাপ মসলা চা। অল্প একটু দারুচিনি গুঁড়ো, লবঙ্গ বা গোলমরিচ মিশিয়ে চায়ের মতো খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে মিলবে মসলায় বিদ্যমান বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল।
এতে করে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। এমনকি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধবে না।
দুধ-হলুদ খাবেন
এক কাপ দুধে দুই চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শীতকালীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
কারণ দুধ ও হলুদে বিদ্যমান একাধিক উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল। আরও আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান।
রসুন খাবেন
হৃদরোগ থেকে শুরুকরে নানা সমস্যার সমাধান করে রসুন।তাই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে রসুনের কোনো বিকল্প নেই।
এমএ/