দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়ায় নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘন্টা আগে জনস্রোত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ১১ই নভেম্বর ২০২৩


দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়ায় নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘন্টা আগে জনস্রোত
ছবি: জনবাণী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন করবেন ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কক্সবাজার রেল লাইনের। তিনি এখন কক্সবাজারের আইকনিক রেল স্টেশনের সুধি সমাবেশের মঞ্চে রয়েছে। এর উদ্বোধন কার্যক্রম শেষ করে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মহেশখালীর মাতারবাড়িতে।


শনিবার (১১ নভেম্বর) যেখানে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। যেখানে আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি মতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে পৌঁছবেন বেলা ৩ টার দিকে। কিন্তু এর মধ্যেই জনসভাস্থলে জনস্রোত নেমেছে। মিছিলে মিছিলে আসতে শুরু করেছে মানুষ। সভাস্থল পূর্ণ হয়ে উঠেছে মানুষে-মানুষে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ২৮ বছর পর মাতারবাড়ি যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বিগত ১৯৯৪ সালে বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালীন ঘূর্ণিঝড়ে কবলিত মানুষের দূরদশা দেখতে কক্সবাজার সফরে আসেন। ওইসময় তিনি সমুদ্র উপকূলের দুর্যোগ কবলিত মাতারবাড়িও পরিদর্শন করেন। 


তাঁর সফরকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেখানে সংক্ষিপ্ত আকারে জনসভা আহবান করেছিল। আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতারাসহ স্থানীয়রা ধারণা করেছিলেন জনসভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে। কিন্তু সেইদিন জনসভাস্থল মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ কানাকানায় পূর্ণ হয়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। 


বাড়ি ঘরের দরজা তালাবদ্ধ রেখে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য নারী-শিশুরাও। অভূতপূর্ব জনসমাবেশের দৃশ্য দেখে সেইদিন আবেগে আপ্লুত হয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। মাতারবাড়িকে ‘নিজের নানারবাড়ি’ আখ্যা দিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন ‘দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া’। 


সেই থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরাসহ রাজনৈতিক সচেতন মহলের কাছে মাতারবাড়ি দেশের দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া। শনিবার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই মাতারবাড়ি সফরে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তাই মানুষের আগ্রহের যেন শেষ নেই।


আরএক্স/