শিক্ষাজীবন বিঘ্নিতের প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সারা দেশে হরতাল, অবরোধ ও সহিংসতার মাধ্যমে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা রোধ, শিক্ষা জীবন বিঘ্নিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) শাখা ছাত্রলীগ। 

শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এসময় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় টেন্টে সমবেত হয়।

এসময় অনুষ্ঠিত সমাবেশ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সামনের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কিছু বিদেশি শক্তির ইন্ধনে বিএনপি-জামায়াত জোট নানা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এই নৈরাজ্য মেনে নিবে না। ছাত্রসমাজ উন্নয়নে বিশ্বাস করে, পদ্মাসেতুতে বিশ্বাস করে, কর্ণফুলী টানেলে বিশ্বাস করে, ৫৬০ টি মডেল মসজিদে বিশ্বাস করে। ছাত্রসমাজ এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে তাতে বিশ্বাস করে কিন্তু তারা কখনো দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াতে বিশ্বাস করে না, পিটিয়ে মানুষ মারাতে বিশ্বাস করে না। 

তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত এবং উন্নয়নের যে মহাসড়কে উঠেছি, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে এবং তার নৌকা মার্কাকে সামনের নির্বাচনে বিজয়ী করার মাধ্যমে এই উন্নয়নকে দেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবো। 

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জামায়াত-বিএনপি হরতাল এবং অবরোধের নামে সারাদেশে প্রায় ৯০ টিরও বেশী গাড়ি পুড়িয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক সেসময় এই জামায়াত শিবির দেশী এবং বিদেশি কিছু চক্রান্তের দ্বারা সামনের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে বিভিন্ন নীলনকশা এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ বিএনপি-জামাতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সদা সর্বদা রাজপথে জাগ্রত থাকবে। রাতের অন্ধকারে কেও যদি হরতাল অবরোধের নামে দুই ফুটের ব্যানার দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা ব্যহত করার চেষ্টা করে তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের এমন গণধোলাই দিবে ইবিতে তো দূরের কথা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহে আসতে পারবে না। ইবির ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষার সঠিক মান এবং স্বাভাবিক পরিবেশ রাখার জন্য ইবি শাখা ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর। 

আরএক্স/