শ্রীনগরে ডাঙ্গার পাড়ে আগাম লাউ চাষে সফল কৃষক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১১ অপরাহ্ন, ১৩ই নভেম্বর ২০২৩
মুন্সীগঞ্জর শ্রীনগরে ডাঙ্গার পাড়ে আগাম লাউ চাষে সফল হচ্ছেন স্থানীয় সবজি চাষীরা। এরই মধ্যে শীতের আগাম লাউ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। চকের মাঝে ডাঙ্গার প্রতীত পাড়ে বাণিজ্যিক লাউ চাষ করে সফল উদ্যোক্তাদের মুঁখে হাসি ফুঁটে উঠেছে।
খোলা বাজারে মৌসুমী সবজির মূল্যে অনেকাংশে বেশী হলেও সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদার তালিকার শীর্ষে রয়েছে আগাম লাউ। খুচরা বাজারে প্রায় দুই কেজি ওজনের (মাঝারি সাইজের) লাউয়ের পিস কেনাবেচা হচ্ছে ১০০ টাকা। তবে প্রকার ভেদে ও এলাকাভিত্তিক এর মূল্য কিছুটা কম বেশী হতে পারে।
লাউয়ের বাম্পার ফলন ও কাঙ্খিত দামে পাওয়ায় স্থানীয় লাউ চাষীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। পাইকারী দরে একেকটি লাউ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আড়িয়ল বিল এলাকার বিভিন্ন ভিটায় লাউসহ শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে।
আগাম লাউয়ের পাশাপাশি লাউডগা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন উঁচু জমি ও চকের মাঝে ডাঙ্গার পাড়েও আগাম লাউ চাষ করা হচ্ছে। এমনই একজন উদ্যোক্তার সন্ধান মিলেছে। আরাফাত রহমান শিমুল নামে তরুণ এই উদ্যোক্তা উপজেলার বিবন্দী-টুনিয়ামান্দ্রা চকের মাঝখানে ডাঙ্গার পাড়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল লাউ ক্ষেত।
দেখা গেছে, ডাঙ্গার পাড় জুড়ে দীর্ঘ বাঁশের মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য লাউ। রিষ্টপুষ্ট বিষমুক্ত এসব লাউ ক্ষেতিতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি। ডাঙ্গার পাড়ে কচুরিপানা তুলে তা পঁচিয়ে লাউ চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান শিমুল।
তিনি বলেন, ডাঙ্গার পাড়ের জঙ্গল পরিস্কার করে ভরাবর্ষার সময় লাউ ক্ষেতির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ডাঙ্গার প্রতীত পাড়ে আগাম লাউ চাষে এভাবে সারা পাবো এটা কল্পনার বাহিরে ছিল। তিন ধরে বাগানের উৎপাদিত লাউ বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারী দরে ৭০ টাকা করে ধরা হচ্ছে। সর্বমোট ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ ক্ষেতি থেকে প্রায় আড়াই হাজার পিস লাউ বিক্রির কথা ভাবা হচ্ছে। এতে প্রায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোক্তা।
আরএক্স/