মুরাদনগরে আলোক ফাঁদ ব্যবহারে লক্ষ্যমাত্রার অধিক আবাদ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:০৬ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৩
পোকার আক্রমণে প্রতিবছর পর্যাপ্ত ফলনে ঘটে বিঘ্ন। অনুমান নির্ভর হয়ে কৃষককে ব্যবহার করতে হয় কীটনাশক। আলোক ফাঁদ ব্যবহারে আবাদি জমিতে আলো-আকর্ষী পোকাগুলো সহজেই শনাক্ত করা যায়। শনাক্তকৃত পোকামাকড় দূর করতে পরিমাণমতো সার ও ঔষধ প্রয়োগে ফসল উৎপাদন হয় মানসম্মত। আলোক ফাঁদের পরিকল্পিত ব্যবহারে কুমিল্লার মুরাদনগরের কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬হাজার ৪শত ১৩হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭হাজার ৬৪হেক্টর অর্থাৎ অতিরিক্ত আবাদের পরিমাণ দাড়াচ্ছে ৬শত ৫১হেক্টর। বি আর ২২, বি আর ২৩, ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৮৭, বিনা ধান১৭ প্রধান জাতগুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তে পদ্ধতিটি ব্যবহার ব্যাপক উপযোগী। উপজেলার মুরাদনগর সদর, ধামঘর, বাঙ্গরা পূর্ব, বাবুটিপাড়া, আকুবপুর, চাপিতলা, পূর্বধৈইর পূর্ব, ছালিয়াকন্দি, রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ও জাহাপুর ইউনিয়নে ব্যাপক সারা ফেলেছে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি।
কৃষক মো. সাদেক মিয়া জনবাণীকে বলেন, আগে কীটনাশক কিনতে অনেক টাকা খরচ হতো। এখন বোঝি কোন সময় কোন কীটনাশক দিতে হবে। কৃষি অফিসের স্যারেরা আমাদের আলোক ফাঁদ দেখিয়ে গেছে, পোকা ধরে দিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনে কীটনাশক দিলাম, পোকা কমছে অনেক। ফসলের ক্ষতি করার পোকা নেই। আগে যখন না বোঝে কীটনাশক দিতাম তখন মাটির গুনাগুন নষ্ট হতো। বর্তমানে মাটির গুনাগুন নষ্টের ভয় নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু জনবাণীকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, আলোক ফাঁদ পদ্ধতিটি খুবই সময়োপযোগী ও কৃষকবান্ধব। আবাদি জমির পরিমাণ আশানুরূপ হারে বেড়েছে। এই পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মাঝেই ধারণা কম, তাই হাতে কলমে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক দেখাচ্ছে। পোকা শনাক্ত করে কখন কি ব্যবহার করতে হবে, কী ব্যবহারে জমির উর্বরতা বাড়বে সব তথ্য সরবরাহ করছি। প্রান্তিক কৃষকের পাশে কৃষি অফিসের পরামর্শ সবসময় চালু রয়েছে।
আরএক্স/