টেকনাফে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ১৭ই নভেম্বর ২০২৩


টেকনাফে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারের টেকনাফে অব্যাহত বর্ষণে পাহাড় ধসে মাটির দেওয়াল চাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।


শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৩ টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।


নিহতরা হল- হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মরিচ্যাঘোনা এলাকার ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শহীদুল মোস্তফা (২০) এবং মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।


স্থানীয় বরাতে রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে থেমে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে পাহাড়ের খাদে বসবাসকারি একই পরিবারের ৪ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় চাপা পড়া মাটি সরিয়ে ৪ জনের মৃতদেহ এবং আহতদের উদ্ধার করে।


ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।


রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ঘটনায় আর কেউ মাটি চাপা অবস্থায় আছে খুঁজে দেখতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আজ্ঞলিক কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ ইমরান উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গভীর সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এতে কক্সবাজারসহ দেশের সবক’টি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দূরবর্তী সাগরে অবস্থান করছে। 


তবে ঘূর্ণিঝড়টি কবে নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।


সহকারি এ আবহাওয়াবিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলার প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি, হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত কক্সবাজারে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার। আবহাওয়ার বৈরী পরিস্থিতি কেটে না যাওয়া পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরে পানি স্বাভাবিকের চাইতে ২ থেকে ৩ ফুট বেশী উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।


আরএক্স/