পাবনায় আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্য আটক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, ১৭ই নভেম্বর ২০২৩


পাবনায় আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্য আটক
চক্রের চার নারী সদস্য। ছবি: জনবাণী

পাবনা সদরের টেবুনিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদ্যরা সকলেই ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা এলাকার। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানাতে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।


আটককৃত নারী সদস্যরা হলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা নাসির নগর থানার দৌলতপুর গ্রামের মো. মানিক মিয়ার স্ত্রী রুবিনা ওরফে রোজিনা খাতুন (৪০), একই এলাকার মহারাজ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), মোঃ রুবেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২৫) ও মো. মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রুহেলা ওরফে রোহেলা বেগম (২২)। তাদের সকলের বাড়ি একই গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাস, ট্রেন ও পরিবহনে কৌশল করে  ছিনতাই ও চুরির কাজ করে আসছেন বলে জানান পুলিশ।


পুলিশের দেয়া তথ্য সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফাতেমা খাতুন নামে এক যাত্রী টেবুনিয়া রেলস্টেশন এলাকাতে নামেন। সেখানে ওই নারী ও তার স্বামী মোঃ জুলহাস খান গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি ইজিবাইকে ওঠেন।


ঘটনাক্রমে আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদস্যরা পরিকল্পিত ভাবে তারাও ওই ইজি বাইকে উঠেন। পথেমধ্যে তারা অসুস্থতার ভান করে ওই মহিলা যাত্রীর গলা থেকে স্বর্ণেও চেন ছিনিয়ে নেয়। সে সময় ওই যাত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেন।


এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতায়ের ঘটনা শিকার করেছেন। ১৭ নভেম্বর দুপুরে আইনগত পক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোঃ রওশন আলী বলেন, পাবনার টেবুনিয়া  রেলস্টেশনের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের সময় এই মহিলা চার জন ছিনতাইকারী দলের সদস্য একজন মহিলার গলায় থাকা চেন ছিনতাই করতে যায়  ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে টান দেয়  তখন মহিলা চিৎকার দিলে পাশে আমাদের পুলিশ টোল পুলিশ এবং সাধারণ জনতার সহযোগিতায় তাদের ধরতে সক্ষম হয়। হঠাৎ করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর সময় দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কারণ নামে পাঁচটা সাতটা করে ছিনতাই  মামলা আছে।  যে মহিলার চেন ছিনতাই করতে গিয়েছিল সেই মহিলা বাদী হয়ে মামলার রিজু করে আসামিদের  বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি। 


আরএক্স/