‘সমতার বিশ্ব গড়তে হলে নারী পুরষের সমঅংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘সমতার বিশ্ব গড়তে হলে নারী পুরষের সমঅংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে’

নারী সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষভাবে স্মরণ করেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে। নারীর অগ্রায়নে তিনি ছিলেন পথিকৃত। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে নারী উন্নয়নের ফলেই সকলক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা নারী উন্নয়নে নারীর ক্ষমতা আনয়নে কাজ করেছেন।  নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে উন্নত করা সম্ভব। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববাসী জীবন ও জীবিকার সংকটের মুখে পড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সরকারের দৃঢ় সময়োপযোগী ও জনমুখী সিদ্ধান্তের ফলে আমরা এ সংকট উত্তোরণের পর্যায়ে রয়েছি।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে প্রধান অতিথির ভাষণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এলজিইডি দিবসটি পালনে “শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা পুরস্কার ২০২২” আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ১১ জন সফল নারীকে পুরস্কৃত করেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’। নারীকে ক্ষমতায়ন করতে এবং জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে একটি প্রকৌশল সংস্থা হয়েও এলজিইডি বিশাল ভূমিকা রেখে চলেছে গত বত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন সভাপতির বক্তব্যে বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ২০১০ সাল থেকে এলজিইডির শ্রেষ্ঠ আত্ম নির্ভরশীল নারীদের সম্মাননা দিয়ে আসছে। পল্লী, নগর ও পানি সম্পদ উন্নয়ন সেক্টরে আত্মনির্ভরশীল নারীদের মধ্যে যেসব নারী অনন্য সাফল্য অর্জন করেন, তাদেরই এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এলজিইডি দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডি সব সময় নারীদের জন্য নারী বান্ধব সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করে থাকে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করার ফলে গ্রামীণ নারীরা আজ স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় এলজিইডি এসব বাস্তবমুখী পদক্ষেপ সাধারণ জনগণের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে।

 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২-এর প্রাক্কালে কমনওয়েলথ মহাসচিব কোভিড মহামারী মোকাবেলায় অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের মধ্যে তিনজন নারী মন্ত্রীকে শীর্ষ অনুপ্রেরণাদায়ী নারী নেতা হিসেবে ঘোষণা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে অন্যতম। এলজিইডি সড়ক, সেতু ও বিভিন্ন ধরনের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ করলেও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সংস্থাটি সরাসরি অবদান রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে এলজিইডি গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। প্রান্তিক নারীর অবস্থা ও অবস্থান উন্নয়নে এলজিইডির ভূমিকাকে আমি সাধুবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ^দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হওয়ার জন্য জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি সুপারিশ করেছে।

 স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি ১১ জন শ্রেষ্ঠ স্বাবলম্বী নারীকে এলজিইডি প্রদত্ত সম্মাননা পুরষ্কার ও নগদ জনপ্রতি ১ম পুরষ্কার ১৫ হাজার টাকা, ২য় পুরষ্কার ১২ হাজার টাকা ও ৩য় পুরষ্কার ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সভাপতি এলজিইডি জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরাম মোঃ আহসান হাবিব। আরো বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক, এলজিইডি ও সদস্য-সচিব, এলজিইডি জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরাম সালমা শহীদ। এছাড়া উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং এলজিইডি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/