রাজধানীতে কদর বেড়েছে সবজির

শীতের সবজির দর ও কদর দুটোই বেশি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৪ অপরাহ্ন, ১৯শে নভেম্বর ২০২৩


শীতের সবজির দর ও কদর দুটোই বেশি
মগবাজার বাটারগলি থেকে ছবিটি তুলেছেন শাহাদাৎ হোসেন লাভলু ।

শাহাদাৎ হোসেন লাভলু: ষড়ঋতুর এই দেশে হেমন্ত মানেই শীতের আগমনী বার্তা। ভোর বেলার শিশির ভেজা ঘাস ও হালকা কুয়াশা প্রকৃতিতে শীত আসার আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এরই মধ্যে সারা দেশ জুড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। বাজারে উঠতি মুখী দেখা মিলছে শীতের সবজি। 


সাধারণতো পল্লী অঞ্চলে স্থানীয় প্রায় সব বাজারেই শীতের শাক সবজি আগে দেখা মিলে। সাধারণত পল্লী অঞ্চলের কৃষকেরা হেমন্তের শুরুতে আবাদি জমিতে সবজি বীচ রোপন করে থাকে এবং হেমন্তের মাঝামাঝি ও শেষের দিকে ফসলি ছবি থেকে সবজি উৎপাদিত করতে সফল হয়। স্থানীয় কৃষকেরা উৎপাদিত শাক সবজি স্থানীয় বাজারে প্রথম দিকে বিক্রয় করে থাকে।


আর এসব সবজি খেতে খুব সুস্বাদু, রাতে বেশি করে রান্না করে , সাধারণত পল্লী অঞ্চলে গায়ের বধূরা, রাতের খাবার শেষ করে ক্লান্তি দূর করতে নিদ্রায় চলে যায়। ভোর হতেই কৃষকেরা ঘুম থেকে উঠে, কড়করে ভাত আর এই সবজি খেতে, কার না ভালো লাগে। ভোর সকালে কড়করে ভাত আর সবজি খাবার মজাটাই যেনো ছিল আলাদা।


 এখনো দেখে মিলে পল্লী অঞ্চলে কৃষকেরা ভোর  সকালে কড়করে ভাত আর সবজি খেয়ে হালের গরু ও লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে মাঠে হাল চাষ করিতে যায় এবং মনের সুখে পল্লী সুর তারা বাউলা গান গাইতে গাইতে হাল চাষ করতে থাকে, এভাবে পল্লী থেকে উৎপাদিত হতে থাকে কৃষকের আবাদি শাক সবজি।


 বাংলাদেশে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত জেলায় বেশি দেখা মিলে শাকসবজির চাষ, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জেলা বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নাটোর, পাবনা, রাজবাড়ী জেলাতে শীতকালীন সবজি চাষ বেশি দেখা মিলে। 


স্থানীয় কৃষকেরা তাদের আবাদী জমিতে সবজি চাষ করে এই সবজি উত্তোলন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করে থাকে , বাজার থেকে ক্রেতারা ক্রয় করে  রাজধানীতে নিয়ে আসে , এই শাক সবজি কে লোকাল বা চালানি বলেই পরিচিত।


শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে সবজি বিক্রেতা আজিজুল হক ব্যাপারী বলেন শীতের শুরুতেই সবজির বাজারে  দর দর একটু বেশি যার কারণ এই শীতের শুরুতেই এখন সবজি নতুন উঠিমুখী সবজি, এ সবজি আমাদের দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে  অবস্থিত জেলা থেকে ট্রাকযোগে রাজধানীতে এসে থাকে তাই পড়লে অঞ্চলের সাথে তুলনা করলে আমাদের কাছে হবে না আমরা পল্লী অঞ্চল থেকে করাই করে রাস্তায় খরচ করছে করে সীমিত কিছু লাভে বিক্রয় করে থাকি। 


একই বাজারে সবজি বিক্রেতা বলেন এখন শীতের শুরুতেই সবজির দাম একটু জ্বর আছে তবে শীতের শেষের দিয়ে এই সবজির কমে যায়, যার কারণ শীতকাল মানেই তো সবজি খাওয়ার আমেজ আলাদা । তিনি আরো বলেন এখন বাজারে নতুন অর্থমুখী সবজি কিনতে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি রয়েছে , আব্বাস আলীর দোকানে দেখা মিলেছে শীতের সবজি লাউ, মুলা, শসা, টমেটো, বেগুন, কপি, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক , বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, ঝিঙেসহ  নানা জাতের টাটকা শাক বাজারে উঠেছে। 


 রাজধানীতে সবজি  আকারভেদে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা , সীম ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


ক্রেতা ইমন হোসেন  বললেন শীতকালে সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। এর স্বাদ-গন্ধ মন কেড়ে নেয়। যদিও দামটার দর একটু বেশি।


খালিদ হাসান বলেন, আমি গ্রামের ছেলে কয়েক বছর যাবত শহরে আছি তবে শীতকালে গ্রামের সেই সবজি খাওয়ার স্বাদ কি ভুলে থাকা যায় তাই বাজারে এসে একটু বেশি করে সবজি করাই করেছি সবজি খেতে আমার ভালো লাগে দর একটু বেশি, তবুও তো শীতকালীন বলে কিছু কথা। তবে পল্লী এখনো কিছু কিছু কৃষক সবজি তৈরি করে যার দ্বারা কীটনাশক ব্যবহার করে সেই সবজি খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে।


তবে বর্তমানে বাজারে দেখা মিলছে পল্লী কৃষকেরা উৎসব ফলনের আশায় সবজি খেতে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকছে, এজন্য আগের মত এখন আর সবজি সুস্বাদু ঘ্রাণ আসে না।


আরএক্স/