শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোহেল, টুকু, নিরবসহ নাশকতার সাত মামলায় বিএনপির ১৪০ জনের কারাদণ্ড


জনবাণী ডেস্ক
🕐 প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ২০শে নভেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

ফাইল ছবি

রাজধানীতে নাশকতার অভিযোগে পৃথক সাত মামলায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৪০ জন নেতাকর্মীকে নানা মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা পৃথক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসকল মামলার রায় ঘোষণা করেন।


পুলিশের কাজে বাধা পল্টন থানার মামলা 

এরমধ্যে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২৫ জনের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।


এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনাম। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিরা ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। 


এছাড়া ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। এরমধ্যে দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় আসামিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তবে আসামিরা পলাতক আছেন।


তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলা

২০১৩ সালে রাজধানীর তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির সাত কর্মীর বিরুদ্ধে ২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো সাত মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।


কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। আসামিদের মধ্যে নীরব কারাগারে, বাকিরা পলাতক রয়েছেন। 


জানা যায়, ২০১৩ সালের মে মাসে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে পুলিশ। মামলার পর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।


বংশালে পুলিশের ওপর হামলার মামলা

অন্যদিকে রাজধানীর বংশালে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬২ নেতাকর্মীকে সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আখতার হামিদ খান পবন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।


মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশালের নবাব কাটরায় হোটেল সুফিয়া লিমিটেডের সামনে দোকানপাট ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বংশাল থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে।


চকবাজার থানার মামলা

এছাড়া চকবাজার থানার মামলায় বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মীকে ২ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিএনপি কর্মী রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইমরান আহমেদ রনি, ইরফান, ফরহাদ উল্লাহ বান্টি, হাজী আব্দুল রাজ্জাক, রুবেল, আনোয়ার হোসেন রনি, জিয়াউল হক জনি, হাজী কামাল ওরফে কামাল উদ্দিন ঝন্টু, জাহিদ, আঃ রহিম উদ্দিন, রাজিব আহম্মেদ, হাজী আঃ হামিদ, ইমরান ও আজিজুল্লাহ। আসামিরা পলাতক আছেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চকবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।


শাহজাহানপুর থানার মামলা

এছাড়া শাহজাহানপুর থানার মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর ২ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- হাসানুল হক মাহমুদ ওরফে কাকন, দুলাল বেপারী, ফরহাদুল ইসলাম, আজিজ, শহিদুল্লাহ টিপু, শাহজালাল, সাইদুর রহমান রিপন, হুমায়ুন কবীর নাহিদ, স্বপন ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীর, শরিফুল ইসলাম, মনসুর, কসাই হোসেন, হাবু, আব্দুল্লাহ জামান ও সোহাগ ভূঁইয়া। আসামিরা সবাই পলাতক আছেন।


জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শাহজাহানপুর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।


এছাড়া ২০১৩ সালের এপ্রিলে পল্টন থানার মামলায় মেহেদী হাসান এক বিএনপি কর্মীকে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে পল্টন থানা এলাকায় নাশকতা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।


জেবি/এসবি

আধ্যাত্মিক সাধনায় সূফীজম ও কাশফের প্রয়োজনীয়তা


জনবাণী ডেস্ক
🕐 প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম,১লা ডিসেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

ছবি: সংগৃহীত

সূফী তথা সুফিজমের উৎপত্তি নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে ‘সুফ’ তথা ছাগল বা ভেড়ার লোম থেকে সূফী নামটির উৎপত্তি । কেউ কেউ বলেন ‘সাফি’ অর্থাৎ ময়লা পরিষ্কারক থেকে সূফী কথাটি এসেছে। তবে আরবি ‘সাফা’ (পবিত্র) শব্দ থেকে সূফী শব্দটির উৎপত্তি বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। বস্তুত: অন্তরের ময়লাকে পরিষ্কার করার লক্ষ্যেই সূফূীরা নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।


পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আধ্যাত্মিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়। হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) ছাহেবের মতে, " মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ণ রূপে আল্লাহতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে অবস্থান করা) এবং ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে স্থায়িভাবে বিলীন হয়ে যাওয়া) লাভ করা যায়। যেহেতু আল্লাহ নিরাকার, তাই তাঁর মধ্যে ফানা হওয়ার জন্য নিরাকার শক্তির প্রতি প্রেমই একমাত্র মাধ্যম। মহব্বতের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্বে লীন হয়ে যাওয়া। যাকে মনছুর হাল্লাজ (র.) ছাহেব পরিণত করেছিলেন ‘ফানা ফিল্লা’তে।


যে মতবাদ ধর্মের গতানুগতি কতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে হৃদয়ের উপলব্ধি দিয়ে বিচার করে, সেটাই সূফীবাদ। হজরত জুনাইদ বোগদাদি (র.) ছাহেব সূফীবাদকে অভিহিত করেছেন ‘নিজের অজ্ঞতার উপলব্ধি’ বলে। অজ্ঞতা বলতে বলা হচ্ছে "বিশালত্ব" তথা আল্লাহকে জানার ও তাঁকে চেনার ব্যাপারে অজ্ঞতা। আল্লাহকে জানার ও চেনার উপায় হোল ভক্তি ও প্রেম । এই প্রেমের অন্য নামই সূফীবাদ। আর এই প্রেমের সাধকরাই সূফী সাধক জগতে পরিচিত।


অনেকে নবী পাক (সা.)’র মাধ্যমে সূফীজমের প্রারম্ভ বলতে চেয়েছেন। এর পক্ষে যৌক্তিকতা হল নবী পাক (স.) নবুওয়্যাত প্রাপ্তির আগে পবিত্র কাবার প্রায় ৫ কি.মি. দূরত্বে হেরা গোহায় মহান আল্লাহ পাকের ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। আর এখানেই পবিত্র কুরআনের প্রথম শব্দ "ইকরা" নাযিল হয়। এক মতে হযরত হাসান আল বসরী (রহ.) ছাহেব সর্বপ্রথম সূফী বলে গণ্য হয়ে থাকেন ।


প্রিয় নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে ৪টি বিদ্যা শিক্ষা দিতেন---শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত। মোরাকাবা করলে হৃদয়ের কালিমা দূর হয়, হৃদয় আলোকিত হয়। মোরাকাবার নিয়ম হল প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে ও রাত্রির তৃতীয় অংশে (রহমতের সময়) জেগে বা অন্য যে কোন সময় আল্লার ধ্যনে মগ্ন থাকা নিজের জীবনের ভুল, বেয়াদবীর জন্য মহান আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা । এভাবেই অধিককাল মোরাকাবা করলে দিলের চোখ খুলে যায়। আর ঐ চোখেই কেবল মো'মেন বান্দার নামাজ মেরাজ সম হয়ে থাকে।


মোরাকাবা হল নফল ইবাদতের অর্ন্তভূূক্ত। নফল ইবাদত হল মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম পন্থা। তাই মোরাকাবা সাধকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সাহাবায়ে কেরামগণ প্রথমে মোরাকাবা করেছেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত নির্দেশিত হয়েছে।


অবশ্য আরেক মত হচ্ছে পবিত্র আসহাব-ই-সুফফা অর্থাৎ বান্দার এ সাহাবাগণের আদর্শই সূফীরা গ্রহণ করেছিলেন এবং সূফফা থেকে সূফী শব্দটি নেয়া হয়েছে। রাসুল (সাঃ) মদিনায় হিজরতের পরে মসজিদে নববীর বারান্দায় একটা ছাউনির নিচে থাকতেন। রাসুল (সাঃ) সাহাবাদের জন্য ধ্যান বা মোরাকাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানে বসে হজ্ব ও ওমরায় আসা নবীর আশেকরা কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, ধ্যান বা মোরাকাবা, দরুদ ও মিলাদ শরীফ পড়ে থাকেন। ছাউনি শব্দটা থেকেই এসেছে সূফী শব্দটা। তাঁরা সেখানে থাকতেন সংসার তথা দুনিয়াবী সব কিছু ত্যাগ করে। তাঁরা লোমের কম্বল এবং পোশাক ব্যবহার করতেন । ওই সাহাবিগণ ব্যবসা-বাণিজ্য-চাষাবাদ কিছুই করতেন না, এমনকি থাকতেন না পরিবারের সাথেও। মক্কা - মদিনা অথবা যেখানেরই অধিবাসী হোন না কেন- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রেমে নিবেদিত ও সমর্পিত হয়েছিলেন তাঁরাই এসে থাকতেন ওই তিনদিক খোলা ছাউনির তলায়। পুরো দলের মধ্যে হয়ত দু-চারজন কাঠ কাটতে গেলেন, বিক্রি করে সবার জন্য দু-চার টুকরা করে রুটির জোগান দেবেন- বাকিরা ওই ছাউনিতেই। নবী পাক (সাঃ)  গোলামিতে। তিঁনার পবিত্র কদমের তলায়। দিন নেই, রাত নেই, গ্রীষ্ম-শীত-ধূলিঝড় নেই সব সময়। তাঁদের না আছে এক টুকরা বাড়তি কাপড়, না একটা বাক্স-পেঁটরা। দাঁড়াতে পারেন না, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান- এই এঁরাই আবার কী করে যেন রাতের পর রাত পার করে দেন সালাতে। দয়ার সাগর রাসূল (সাঃ) তাঁদের ছাড়া খাবেন না। বসবেন না। উঠবেন না। এই আসহাবে সুফফারা দিনের পর দিন রোজা রেখে রাতের পর রাত কুরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক সাধনায় এমন মগ্ন ছিলেন, যে ইসলামের ব্যবহারিক প্রকৃত রূপ হিসাবে তাঁদের দেখেই মানুষ দলে দলে শান্তির ধর্মে শামিল হত। এসে পড়ত তাদের পান্ডিত্য দেখে, মোহ- বরজনের আজব মোহ দেখে। এভাবে যারা করেছেন, তারাই শুধু সূফী নন। ইসলামের পূরো রীতিটা যেই অনুসরণ করেন, শেষ মেশ তিনিই সূফী।


কাশফ কি ;-- কাশফ মানে হল অজানা কোন বিষয় নিজের কাছে প্রকাশিত হওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবলমাত্র নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিঁনি অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী। তিঁনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কাহারো নিকট প্রকাশ করেন না’। ‘তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তিঁনি তার (অহীর) সম্মুখে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন’ (জিন ৭২/২৬-২৭)। এখানে ‘ওহী’ ও ‘রাসূল’ বলতে জিবরীল ও নবী-রাসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। তবে কখনও কখনও অন্য কারু নিকট থেকে অলৈাকিক কিছু ঘটতে পারে বা প্রকাশিত হতে পারে। যেমন ছাহাবী ও তাবেঈগণ থেকে হয়েছে। অতএব এরূপ যদি কোন মুমিন থেকে হয়, তবে সেটা হবে ‘কারামত’। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে এর দ্বারা সম্মানিত করেন।

ঋণ খেলাপি প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম,১লা ডিসেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

প্রতীকী ছবি

নিয়ম অনুযায়ী ঋণ খেলাপি কোন গ্রাহক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে। 


গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এর কারনে কেউ খেলাপি হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ৭দিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করে নিয়মিত করার নিয়ম ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয়। গত জুলাই আবারও ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয়। নতুন আইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার একদিন আগে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছাড় দেওয়ার কারণে ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সহজ হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগের মত ১০ শতাংশ নগদ অর্থ জমা দিয়ে ঋণ পুনঃ তফসিল করতে হচ্ছে না। এখন অনেক কম অর্থ জমা দিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছে। একই সাথে ঋণ পুনঃ তফসিলের তথ্য  বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো যে যার মত করে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করে দিচ্ছে।


আরএক্স/

জাবিতে এক মাস ধরে বন্ধ মসজিদের নির্মাণ কাজ, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন


ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
🕐 প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম,১লা ডিসেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

ছবি: জনবাণী

প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম বরকত হল ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল সংলগ্ন মসজিদের নিমার্ণ কাজ। মসজিদের নির্মাণ কাজ পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। চলতি মাসেই নির্মাণকাজ শেষ করার আল্টিমেটাম দেন তারা।

 

শুক্রবার (১লা ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে নির্মাণাধীন মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দুই হলের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্মাণ কাজ চালু করার দাবি জানান এবং আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও প্রকল্প অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।


মানববন্ধন অনুষ্ঠানে  রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র রাফিউল ইসলাম রনি বলেন, মসজিদ নির্মাণে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা শুরু করেছে। এরই মধ্যে চারবার স্থগিত হয়েছে কাজ। অথচ বিশ^বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলমান। আমরা এই মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, আগামী ১০ তারিখ মধ্যে কাজ শুরু না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং প্রকল্প অফিসে আমরা তালা ঝুলিয়ে দিবো। যতদিন কাজ শুরু না হবে ততদিন এই তালা থাকবে। আমরা আগামী মাসের মধ্যে এই মসজিদে নামাজ শুরু করতে চাই।


নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো: মূসা ভূঁইয়া বলেন, মসজিদের কাজ নিয়ে এতো টালবাহানা আমরা আর কোথাও দেখি নাই। এক বছরের মধ্যে একতলা একটি মসজিদ তারা করতে পারেনি। এটা স্পষ্টতই উদাসীনতা।

 

উল্লেখ্য, দুই হলের শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে। তবে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে পাঁচবার সংস্কার করা হয়েছিল পুরাতন মসজিদটি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে জরাজীর্ণ মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের এপ্রিলে। এর মধ্যে নকশা ও আর্থিক জটিলতায় কয়েক দফায় কাজ স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে চলতি বছরের  ১৯ আগস্ট সকালে ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে।


আরএক্স/

শীতে রান্না করুন হাঁসের সুস্বাদু ঝাল মাংস


জনবাণী ডেস্ক
🕐 প্রকাশ: ০২:২৭ পিএম,১লা ডিসেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

ছবি; সংগৃহীত

শীতের সময় সবচেয়ে মজার একটি খাবার হলো হাঁসের ঝাল মাংস। এ সময় নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে রুটি বানিয়ে অথবা গরম ভাতের সঙ্গে হাঁসের মাংস যেন অমৃত এক খাবারে নাম। হাঁসের মাংস রান্না সহজ মনে হলেও সবাই সুস্বাদু করে রাঁধতে পারেন না। সঠিক মসলার পরিমাণ আর রান্নার কৌশল জানা থাকলে খাবারটি হবে অনেক সুস্বাদু। তবে চলুন রেসিপিটি জেনে নিন।


কি কি লাগবে -


মধ্যম সাইজের হাঁস ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৩ টুকরা, কাঁচা মরিচ ৬টি, তেল আধা কাপ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, জায়ফল গুঁড়া এক ।


যেভাবে রান্না করবেন-


প্রথমে পেঁয়াজ তেলে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে, তারপর সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে আবার অল্প পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। এরপর সেই কষাণো মসলায় মাংস ও লবণ দিয়ে দিন। এবার চুলার আঁচ মৃদু করে মাংস ভালোমতো কষিয়ে নিন। বেশকিছু পরে তেল ওপরে উঠে এলে মাংসে গরম পানি দিবেন। মাংস সেদ্ধ হলে ঝোল সামান্য শুকিয়ে গেলে কাঁচা মরিচ ও জিরার গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সবশেষে পোলাও বা পরোটা দিয়ে পরিবেশন করুন বেশ জমে যাবে। 

ধর্মে সূফীবাদের গুরুত্ব কী?


জনবাণী ডেস্ক
🕐 প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম,৩০শে নভেম্বর ২০২৩

Janobani Bangla NewsPaper

ছবি: প্রতিকী

সূফীবাদ হল ইসলামি আধ্যাত্মিক দর্শন। আত্মা-সম্পর্কিত আলোচনাই এর মূল বিষয়বস্তু। নিজ নিজ আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। ‘সুফ’ অর্থ পশম আর তাসাউফের অর্থ পশমি বস্ত্রে পরিধানের অভ্যাস (লাবসুস-সুফ)। মরমিতত্ত্বের সাধনায় কারও জীবনকে নিয়োজিত করার কাজকে বলা হয় তাসাউফ। যিঁনি নিজেকে এরূপ সাধনায় সমর্পিত করেন, তাঁকেই সূফী বলে। 


তাসাউফ বা সূফীবাদ বলতে অবিনশ্বর আত্মার পরিশুদ্ধির সাধনাকে বোঝায়। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহর (আল্লাহর সঙ্গে অবস্থান করা) মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে স্থায়ীভাবে বিলীন হয়ে যাওয়া) লাভ করা যায়। যেহেতু আল্লাহতায়ালা নিরাকার, তাই তাঁর মধ্যে ফানা হওয়ার জন্য নিরাকার শক্তির প্রতি প্রেমই একমাত্র পন্থা হতে পারে। তাসাউফ দর্শন অনুযায়ী এই সাধনাকে ‘তরিকত’ বা খোদা-প্রাপ্তির পথ বলা হয়। আর তরিকত সাধনায় মুর্শিদের প্রয়োজন আব্যশক। সেই পথ হলো ফানা ফিশ শায়েখ , ফানা ফিররাসুল ও ফানাফিল্লাহ। ফানাফিল্লাহ হাছিলের পর বাকাবিল্লাহ হাছিল হয়। 



বাকাবিল্লাহ অর্জিত হলে সূফী আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ শক্তিতে শক্তিমান হন। তখন সূফীর অন্তরে সর্ব অবস্থায় শান্তি ও আনন্দ বিরাজ করে।


হযরত মোহাম্মদ (সা.) ফরমান, ‘মানবদেহে একটি বিশেষ অঙ্গ আছে, যা সুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ পরিশুদ্ধ থাকে, আর অসুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ অপরিশুদ্ধ হয়ে যায়। জেনে রাখো, এটি হলো কলব বা হৃদয়। আল্লাহর জিকর বা স্মরণে কলব কলুষমুক্ত হয়।’ সার্বক্ষণিক আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে কলবকে কলুষমুক্ত করে আল্লাহর প্রেমার্জন সূফীবাদের উদ্দেশ্য।


সূফীবাদ উৎকর্ষ লাভ করে পারস্যের নগরে। সেখানকার প্রখ্যাত সূফী-দরবেশ, কবি-সাহিত্যিক এবং দার্শনিকেরা নানা শাস্ত্র, কাব্য ও ব্যাখ্যা-পুস্তক রচনা করে এই দর্শনকে সাধারণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন। কালক্রমে বিখ্যাত অলিদের কেন্দ্র করে বিভিন্ন তরিকা গড়ে ওঠে।


তার মধ্যে চারটি প্রধান তরিকা সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করে: ১. বড় পীর হযরত আবদুল কাদির জিলানি (র.) ছাহেব প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া তরিকা, ২. সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মু’ঈনুদ্দীন চিশতি (র.) ছাহেব প্রতিষ্ঠিত চিশতিয়া তরিকা, ৩. হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দী (র.) ছাহেব প্রতিষ্ঠিত নকশবন্দিয়া তরিকা এবং ৪. হযরত শেখ আহমদ মুজাদ্দিদ-ই-আলফে ছানী সেরহিন্দী (র.) ছাহেব প্রতিষ্ঠিত মুজাদ্দেদীয়া তরিকা। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দি, মাদারিয়া, আহমদিয়া ও কলন্দরিয়া নামে আরও কয়েকটি তরিকার প্রসার ঘটে।


আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে সূফীরা বাংলাদেশে সূফীবাদ প্রচার করেন। খ্রিষ্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে যেসব সূফী-সাধক এ দেশে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: শাহ সুলতান রুমি (র.) ছাহেব, বাবা আদম শহিদ (র.) ছাহেব, শাহ সুলতান বলখি (র.) ছাহেব, শাহ নিয়ামতুল্লাহ বুতশেকন (র.) ছাহেব, শাহ মখদুম রুপোশ (র.) ছাহেব, শেখ ফরিদউদ্দিন শক্করগঞ্জ (র.) ছাহেব, মখদুম শাহ দৌলা শহিদ (র.) ছাহেব প্রমুখ। এঁরা গভীর পাণ্ডিত্য ও বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বলেও প্রচলিত আছে। বেশ কয়েকজন সূফী-দরবেশ ইসলাম ও সূফীবাদ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের মধ্যে শেখ জালালুদ্দিন তাব্রিজি (র.) ছাহেব, শাহ জালাল (র.) ছাহেব ,শাহ পরাণ (র.) ছাহেব ,শাহ আলী বাগদাদী (র.) ছাহেব, খান জাহান আলী (র.) ছাহেব, শাহ ফরিদউদ্দিন (র.) ছাহেব,শাহ সূফী খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (র.) ছাহেব, শাহ সূফী বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু.ছে.আ.) ছাহেব প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।


হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের গুরুসাধকেরা আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে যেভাবে দীক্ষা দান করতেন, সেভাবে মানবপ্রেম তথা সৃষ্টির প্রতি প্রেমের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রেমার্জন সূফীবাদের মূল আদর্শ। সূফীরা নিজেদের আদর্শ জীবন এবং সূফীবাদের প্রেম-ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের মধুর বাণী প্রচার করে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এ দেশের সাধারণ মানুষের মন মনন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনেও সূফীদের প্রভাব লক্ষ করা যায়। যেমন পানি পথে যাতায়াতের সময় মাঝিরা ‘বিভিন্ন পীরের’ নাম স্মরণ করে। শুধু তা-ই নয়, নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে শহরের যানবাহনে পর্যন্ত বিভিন্ন পীর-আউলিয়ার নাম লেখা থাকে। লৌকিক ধারার মুর্শিদি-মারফতি গান, গাজীর গান, গাজীকালু-চম্পাবতী কাব্য ও অন্যান্য মরমি সাহিত্য, মাদার পীর ও সোনা পীরের মাগনের গান ইত্যাদি বিভিন্ন পীর-দরবেশকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে।