বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে সন্ধান, উন্মোচন, সৃজন ও বিতরণ: ইবি উপাচার্য
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:০০ অপরাহ্ন, ২২শে নভেম্বর ২০২৩
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, কেক কাটা এবং স্টুডেন্টস্ ই-পেমেন্ট উদ্বোধনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এর আগে জাতীয় পতাকা ও বিশ্বিবদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান (ভারপ্রাপ্ত)।
কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে উপ- উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। প্রতিটি বিভাগ ও হল স্ব-স্ব ব্যানার নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে সমবেত হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে র্যালিটি পুনরায় শুরু হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে মিলনায়তনে টিএসসিসির পরিচালক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় এবং ৪৫ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা, কেক কাটা, স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। আলোচনাসভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনকে শুভ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার হিসেবে ই-পেমেন্ট সিস্টেম এর ব্যবস্থা করেছি। আজ থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে কোনো ফি জমা দিতে হবে না। বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির যে ভিশন, তার প্রধান দুটি কম্পোনেন্টের মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যাশ-লেস সোসাইটি এবং অন্যটি পেপারলেস সোসাইটি। এই দুটি ভিশন মাথায় রেখে আমরা অলরেডি স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি এবং এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আরও অনেকগুলো বিষয় গোপন রেখেছি যা কিছুদিনের মধ্যে হয়তো উদ্বোধন করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য মানে আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্য। সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তার পরিবার এবং তার প্রতিটি সাফল্য মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বক্তব্যে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনুকূল-প্রতিকূল পরিস্থিতি পার হয়ে শিক্ষা গবেষণা সংস্কৃতি ক্রীড়াঙ্গণে অর্জন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলার ছোঁয়া অব্যাহত আছে। শৈশব থেকে কৈশোর পার হয়ে যৌবনে পা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়। পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় মানে বার্ধক্য না বরং নবযৌবন ফিরে পেয়েছি এবং বছর বছর ঠিকে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে সন্ধান, উন্মোচন, সৃজন ও বিতরণ। ৪৫ বর্ষে পদার্পণ করা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকে কী কী দেওয়া হয়েছে তা যদি বলতে যাই তাহলে আমরা কতটুকু অনুসন্ধান ও উন্মোচন করেছি, কতজন সৃজন করতে পেরেছি, কতটুকু বিতরণ করতে পেরেছি এবং যারা রিসিভার তাদের কতটুকু উপকার আসতেছে এই বিশ্লেষণটা স্ব-স্ব স্টেকহোল্ডাররা করলে সেটাই হবে জন্মদিনের প্রকৃত উপলব্ধি।
আরএক্স/