জুড়ী থেকে বিপন্ন পাখি মদনটাক উদ্ধার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ২৩শে নভেম্বর ২০২৩


জুড়ী থেকে বিপন্ন পাখি মদনটাক উদ্ধার
মদনটাক

জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা আয়রণ ব্রিজের পাশে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত মধ্যেবর্তী স্থানে থেকে  পাখি মদনটাক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।


বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে পরিত্যাক্ত জমি পড়ে থাকতে দেখে পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্য কামাল হোসেন ও স্থানীয় পথচারী জাকির হোসেন পাখিটি উদ্ধার করেন। 


জাকির হোসেন বলেন, সকালে রাস্তায় আমরা দুজন বের হয়েছি গল্প করতে করতে আমরা ব্রিজের পাশে যাই। হাঠাৎ দেখি বড় প্রজাতির একটি মদনটাক পাখি। অসুস্থ হওয়ার কারণে উড়তে পারছে না। এমন অবস্থায় আমরা পাখিটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যাই। পরে পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের কাছে হস্থান্তর করি।


পাখিটি উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পাখিটিকে একনজর দেখতে অসংখ্য মানুষের ভিড় করছেন। তার পর পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষন টিমের সদস্য খোর্শেদ আলম ও কামাল হোসেন মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত জুড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন মোটামোটি সুস্থ হলে পাখিটিকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়।


তথ্যমতে, মদনটাক পাখিটির আকৃতি সম্মুখ অংশ নগ্ন বা টাঁক মাথা এবং ঘাড় ছাড়াও অনুজ্জ্বল হলদে চঞ্চু রয়েছে। এদের শরীরের দৈর্ঘ্য ৮৭-৯৩ সেন্টিমিটার (৩৪-৩৭ ইঞ্চি)। ওজন চার থেকে ৫.৭১ কিলোগ্রাম (৮.৮ থেকে ১২.৬ পাউন্ড) এবং পায়ের উচ্চতা ১১০-১২০ সেন্টিমিটার (৪৩-৪৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে।


জুড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতেলের ডেইরি এন্ড পোল্টি কনসালটেন্ট ডা. মৃদুল কান্তি দে বলেন, পাখিটির শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক কমেগেছে। এধরনের প্রাণীর তাপমাত্রা সাধারণত ১০৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকে। এটার শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি'তে নেমে আসার কারণে মূলত এমন অবস্থা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চারদিনের ঔষধ নিয়মিত সেবনের পরামর্শ দিয়েছি। চারদিন পরে যদি পাখিটি সুস্থ না হয় তাহলে মৌলভীবাজারে প্রেরণ করার কথা বলেছি।


পরিবেশকর্মী কামাল হোসেন বলেন, এই পাখিটি নিয়ে গবেষণা সহকারি হিসেবে একটি প্রকল্পে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। পাখিটির প্রতি আলাদা একটি মায়া সৃষ্টি হয়ে গেছে। আজ হাঠাৎ অসুস্থ পাখিটি দেখে আমরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি। বর্তমানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো পাখিটি সুস্থ হওয়ার জন্য। পাখিটি যখন সুস্থ হয়ে যাবে আমরা থাকে আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিবো।


বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) ড.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মদনটাক পাখিটি উদ্ধারের খবরটি আমি পেয়েছি। মৌলভীবাজার থেকে লাঠিটিলার দূরত্ব অনেক সেজন্য সেখানের পরিবেশবাদী টিমকে পাখিটি দেখাশুনা করে রাখার জন্য বলেছি।  আপাতত চিকিৎসা চলছে শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জেবি/এসবি