বিত্তশালীদের টার্গেট করেই লাভলীর বিয়ে বানিজ্য!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৭ অপরাহ্ন, ২৫শে নভেম্বর ২০২৩


বিত্তশালীদের টার্গেট করেই লাভলীর বিয়ে বানিজ্য!
লাভলী আক্তার

রাজবাড়ির লাভলী আক্তার (৩১)। যার টার্গেট বিত্তশালী পুরুষ। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করেছে একাধিক পুরুষকে। অভিযোগ আছে তার প্রথম স্বামী কামরুল ইসলামের ঘর ছাড়েন কোন কারণ ছাড়াই। সেখানে রয়েছে একটি কন্যা সন্তানও। এরপর দীর্ঘদিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করার পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে গিয়াসউদ্দিন আহমেদ রাজু (৪২) নামের একজন ব্যক্তিকে। এরপর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা।


রাজু তার  অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাওয়ায় সেখান থেকে চলে যায় রাজবাড়ী জেলার কালুখালি থানার তার নিজ গ্রাম শ্যামসুন্দর, খাগজানায়। দ্বিতীয় স্বামী গিয়াসউদ্দিন আহমেদ রাজুকে ডিভোর্স না দিয়েই সিংগাপুর প্রবাসীকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তখনই লাভলী বিভিন্ন জনের সহায়তায় শুরু করে অভিনব ফাঁদ। দ্বিতীয় স্বামী গিয়াসউদ্দিন আহমেদ রাজুকে নিয়ে সংসার করবে। তার ভুলত্রুটি শুধরে দেশের প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় রীতিতে আবারও দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন লাভলী। তা আবার মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে ফেলেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ রাজু। ডাকা হয় লাভলীর এক নিকট আত্মীয়ের বাসায়। সেখানে তাদের পাতানো ফাঁদে পড়ে যান দ্বিতীয় স্বামী গিয়াসউদ্দিন আহমেদ রাজু। 


নিজের ফেসবুক আইডিতে ইন্টারনেট ভিত্তিক অশ্লীল ছবি ডাউনলোড করে পোস্ট করে নিজের ছবি বলে চালিয়ে দেয় লাভলী। এরপর জরুরি সেবা-৯৯৯ ফোন করে পুলিশ এনে রাজু তার অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করান। এরপর শিল্পাঞ্চল ঢাকার  আশুলিয়া থানায়  বাদী হয়ে মামলা করেন। যাহার নং ৩৫ এবং  ২০০০ সালের সংশোধনি ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তথ্যসহ পূর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১),৮(২),৮(৩) এবং ধর্ষন ৯(১) ধারায়।


ধারাবাহিক ভাবে লাভলী আক্তারের প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী গিয়াসউদ্দিন রাজু গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী'র দ্বারা প্রতারণার স্বীকার হয়েছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি এই হয়রানি মূলক মামলা থেকে মুক্তি চাই। 


এদিকে রাজুর সাথে দফারফা করতে অভিযুক্ত লাভলী আক্তার (৩১) চার লক্ষ টাকা অর্থ দাবি করে। না দিলে পূনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অশ্লীল ছবি পোস্ট করে তাকে আবারও মামলায় ফাঁসানো হবে বলে জানান। বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী গিয়াসউদ্দিন রাজু উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যাহার নং ১৭৬১। জিডির বিষয়টি লাভলী আক্তার জেনে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও তার নিজ এলাকা রাজবাড়ীর কালুখালি থানায় ১৫ই অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে  একটি মামলা দায়ের করেছে। যাহার নং ১৪ এবং জি আর নং ১৪৯। 


একই অভিযোগে বার বার মামলা করার বিষয়ের  সত্যতা জানতে, অভিযুক্ত লাভলী আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে ও কোন যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। 


বিষয়টি নিয়ে লাভলীর এক প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, লাভলীর আগে থেকেই চরিত্র খারাপ। বিয়ে ছাড়াও সে বিভিন্ন পুরুষের সাথে ফিটিং বাজির অভিযোগ আছে।


উল্লেখ্য, বিষয়টির সঠিক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসা এই লাভলী আক্তার রাজবাড়ী জেলার কালুখালি থানার শ্যামসুন্দর,খাগজানা গ্রামের হোসেন খানের মেয়ে। তার এই হয়রানি থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।


জেবি/এসবি