ধামরাইয়ে মোড়ে মোড়ে শীতের পিঠা বিক্রি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, ২রা ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকার ধামরাইয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ধামরাই পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও বিভিন্ন হাটবাজারে এমন পিঠা তৈরির দোকান চোখে পড়ার মতো।
এই সব দোকানে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পিঠা,চাপড়িসহ নানা স্বাদের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে পিঠা বিক্রেতারা। আর এই পিঠার দোকানে পিঠার সাথে থাকছে নানা ধরনের ভর্তা। এসব পিঠার দোকান হাতের কাছে পাওয়ায় পিঠা প্রেমিরাও পিঠা খেতে এসব দোকানে ভিড় করেন। বিকেল হলেই দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেন গভীর রাত পর্যন্ত।
ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বর, কিষাণ প্লাজার সামনে, ইসলামপুর গোডাউন মোড়, ধামরাই যাত্রাবাড়ী মোড়, ঢুলিভিটা বাসট্যান্ড, থানা রোড বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই মডেল টাউন, কালামপুর হাট, বাথুলি স্ট্যান্ড, কাওয়ালীপাড়া বাস স্ট্যান্ড, জয়পুরা বাজার, তালতলা, চন্দ্রাইল বৌ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এখন রকমারি পিঠার দোকান পিঠা প্রেমিদের আকৃষ্ট করছে বলে জানা যায়। এরা বছরের অন্য সময় দিনমজুরের কাজ করেন আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ এক সময় ছিলেন অবহেলিত কর্মহীন বেকার। শীত আসায় তাদের হাতে কাজ এসেছে তারা এখন পিঠা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে।
পিঠা বিক্রেতা রহিমা বেগম জানান, বিভিন্ন ধরনের লোকজন এসে আমাদের কাছে পিঠা খায়। আমাদের এই পিঠা খেতে মানুষ পছন্দ করে। তাই ফুটপাত হলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হয়। পিঠা বানিয়ে পরিস্কার পাত্রের মধ্যে রাখি, ভর্তাও রাখি ঢাকনাওয়ালা বাটিতে।প্রতিটি চিতই, ভাপা ও চাপড়ি পিঠা ১০ টাকা এবং ডিম চিতই একেকটি ৩০ টাকা রাখেন তিনি। আর এই পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন তার হাজার খানেক টাকা আয় হয় বলেও জানান তিনি।
ঢুলিভিটা স্ট্যান্ডে সারা বছরই চিতই পিঠা বিক্রি করেন রাসেল তিনি জানান, শুধু শীতকালই নয়, সারা বছরই প্রতিদিন দুপুরের পর পিঠা বিক্রি করেন তিনি। ঢুলিভিটা স্ট্যান্ডের আশেপাশের মানুষজন তার পিঠা কেনেন। অনেকে ৮ থেকে ১০টা করে বাসায় নিয়ে যান, পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে খান। পিঠা তৈরির জন্য চালের গুঁড়াসহ আনুষঙ্গিক সব জিনিস জোগাড়ে তার স্ত্রী সহায়তা করেন। পিঠা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে বলে জানান।
ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতারা জানান, বেশিরভাগই মৌসুমি ব্যবসা হিসেবেই পিঠা বিক্রি করে থাকেন। শীতের তিন-চার মাস চলে পিঠার ব্যবসা। তারপর কেউ কেউ অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
আরএক্স/