শ্রীনগরে স্থানীয়দের আলু চাষে কর্মব্যস্ততা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:২৪ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩


শ্রীনগরে স্থানীয়দের আলু চাষে কর্মব্যস্ততা
আলু চাষে কর্মব্যস্ততা। ছবি: জনবাণী

শ্রীনগরে ২১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ চাষে স্থানীয় কৃষকদের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে। উপজেলার পুর্ব অঞ্চলের আটপাড়া, বীরতারা, কুকুটিয়া, তন্তর ও ষোলঘর ইউনিয়নের পুর্ব দেউলভোগ-খৈয়াগাঁও চকের কিছুকিছু জমিতে আলুবীজ বপণ শুরু হয়েছে। 


এছাড়া অসংখ্য জমি হালচাষ ও বীজ বপণের অপেক্ষায় আছে। দেওয়া হচ্ছে। বিশাল এই কৃষিকর্মযজ্ঞে হাজার হাজার শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন। ধারনা করা হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলু চাষীরা মাসব্যাপী মাঠে ব্যস্ত সময় পার করবেন। 


তবে উপজেলার কুকুটিয়া ও তন্তর ইউনিয়নের কোন কোন চকের জমিতে জলাবদ্ধতায় আলু চাষীরা কিছুটা বিলম্বনার শিকার হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর আলুর বাজার মূল্য উর্ধ্বগতির ফলে স্থানীয়দের আগ্রহ বেড়েছে। 


আলুর ওপর এগ্রিমেন্ট জমির দাম অনেকাংশে বেড়েছে। প্রতি কানি জমির (১৪০ শতাংশ) ধরা হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। আলুবীজের বাক্স প্রতি ১০ হাজার, সার, চাষ, শ্রমিক মজুরীসহ অন্যান্য সব খরচ নিয়ে কানি প্রতি আলু চাষে খরচ ধরা হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ। 


এলাকা ভিত্তিক সমপরিমাণ জমিতে আলু চাষের ব্যয় খরচ কিছুটা কম-বেশী হতে পারে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাটাভোগের হরপাড়া, কল্লিগাঁও, আটপাড়া ও বীরতারা এলাকার অনেক জমিতে আলুবীজ বপণ ও জমি ঢাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হরপাড়ায় রফিক, আনু, জয়নালসহ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, দৈনিক সাড়ে ৩০০ টাকায় কাজ করছেন। 


বেশীর ভাগ জমি এখনও শুকায়নি, তাই কাজের চাপ কম। কিছুদিন পর কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। তখন শ্রমিকের মজুরীও বাড়বে। বীরতারার আবুল হোসেন নীলচাঁন নামে এক কৃষক বলেন, প্রকার ভেদে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় জমির কানি এগ্রিমেন্ট করা হয়েছে। প্রতি কানিতে আলু চাষে সর্বমোট খরচ পড়বে প্রায় ৩ লাখ টাকা। 


সব খরচ বাদে আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, গেল বছর উপজেলায় ১৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এ বছর প্রায় ২১০০ হেক্টর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। জমিতে আলুবীজ বপণ শুরু হয়েছে। আলু চাষে কোন প্রণোদনা নেই।


আরএক্স/