তওবার নামাজ আদায় করার নিয়ম
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৩
শয়তানের ওয়াসওয়াসাই পড়ে মানুষ গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। তবে গুনাহগার ব্যাক্তিদের আল্লাহ তায়ালা আশার বাণী ও শুনিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর জুলুম করছ, তোমারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করেন। তিঁনি ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু।’ (সূরা জুমা, আয়াত, ৫৩)
একজন ব্যক্তি যখন গুনাহ করে ফেলে, এমতাবস্থায় তার প্রথম কাজ হলো— তওবা করা। তাওবা মানে গুনাহ হতে প্রত্যাবর্তন করা। মহান রবের দিকে ফিরে আসা। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, ‘তোমরা যদি পাপাচার করতে, এমনকি তোমাদের পাপ আকাশের সীমা পর্যন্ত পৌঁছে যেত, অতঃপর তোমরা তওবা করতে; তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের তওবা কবুল করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৪২৪৮)
তওবা করার নিয়ম হলো- যেসব গুনাহ করেছেন তার ওপর অনুতপ্ত হওয়া আব্যশক এবং ভবিষ্যতে আর কখনো গুনাহ না করার জন্য দৃঢ় সংকল্প সহকারে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে। এ জন্য তওবার নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়াও উত্তম।
এই নামাজ অন্য সকল নামাজের মতোই। শুধু নামাজ পড়ার শুরুতে তওবার নিয়ত করে নিলেই হবে। যেমন, নিয়তের সময় মনেমনে এভাবে বলবেন যে, হে মহান পরোয়ারদেগার ! আমি দুই রাকাত তওবার নামাজ পড়ছি, আপনি আমার নামাজ কবুল করুন। এরপর নামাজের বাকি নিয়মগুলো অন্য নামাজের হুবহু হবে। এতে অন্য কোনো নিয়ম নেই। নামাজ শেষে মহান রবের কাছে অনুতপ্ত হৃদয়ে দোয়া করতে হবে, আর গুনাহ থেকে বেশি বেশি মাফ চাইতে হবে।
এমএল/