বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঔষধ উপকরণ কারখানা স্থাপন করবে চীনা কোম্পানি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:০৩ অপরাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৩


বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঔষধ উপকরণ কারখানা স্থাপন করবে চীনা কোম্পানি
ছবি: বেপজা মিডিয়া সেল

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট হাইটেক কোম্পানি লিমিটেড একটি কার্যকর ঔষধ উপকরণ বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) উৎপাদন কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর আওতাধীন জোনসমূহের মধ্যে এটিই প্রথম এপিআই কারখানা। তারা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরির উপকরণ উৎপাদন করতে ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।


এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বেপজার সাথে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং ক্রিসেন্ট হাইটেক কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মি. জি ওয়েইমিন  নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।


বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এপিআই উৎপাদনের এ কারখানা একটি নতুন সংযোজন।


তিনি বলেন, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস পণ্যের নির্ভরতা হ্রাস করে রপ্তানির বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে বেপজা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, সফ্টওয়্যার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনে প্রাধান্য দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ক্রিসেন্ট হাইটেক এর সাথে আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো, তিনি যোগ করেন।


ক্রিসেন্ট হাইটেক কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মি. জি ওয়েইমিন বলেন, যে খুব দ্রুত তারা কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করবেন। কারখানায় উৎপাদিত পণ্যসমূহ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


আরও পড়ুন: দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো


উল্লেখ্য, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ক্রিসেন্ট হাইটেকসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিল বেপজা যাদের অধিকাংশই বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন করবে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলারেরও অধিক। 


আরও পড়ুন: বিসিকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু ১৭ ডিসেম্বর


এই প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৩১৫ টন ১.৪-ডিহাইড্রোক্সি এনথ্রাকুইনন, ১৮৯ টন ১.৪-ডায়ামিনো এনথ্রাকুইনন, ৬৬১ টন গ্লাইকিউরেসিস ২৬ ও ৫৩ এবং ৬২৯ টন হেপাটাইটিস সি ৩০ ও ২৭ উৎপাদন করবে। কারখানাটিতে ২০৭৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 


চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) আ.ন.ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশীদ আলম এবং নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজসহ বিনিয়োগ পরামর্শক এজেডএম আজিজুর রহমান ও  প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


জেবি/এসবি