ব্যারিস্টার মইনুলের মৃত্যু

দুপুর ১টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩


দুপুর ১টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ
ফইল ছবি

সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তার সম্মানার্থে রবিববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বিচারকাজ বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গেছে।


রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এমন সিদ্ধান্ত নেন।


আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন


ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিকের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী সাজু হোসেন ইংরেজি দৈনিক দি নিউ নেশনের চেয়ারপারসন।


গণমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান। ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের প্রথম নামাজে জানাজা রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর সুপ্রিম কোট প্রাঙ্গণে আরেকটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।


বিখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তারপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।


মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বাংলাদেশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।


আরও পড়ুন: পেঁয়াজের ডাবল সেঞ্চুরি!


বাংলাদেশ এর সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মইনুল হোসেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।


২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।


শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।


জেবি/এজে