শ্রীপুরে সরিষা ফুলের ম-ম গন্ধে ভরে গেছে ফসলের মাঠ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২২ অপরাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের শ্রীপুরে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। হিমেল বাতাসে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্য। এ যেন এক হলদে রাজ্যের অপরূপ সৌন্দর্য। দেখেই মনে হয় হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি।
এখানকার কৃষকরা জানান, এবার সরিষার ফলন হবে বাম্পার। এদিকে রোদের ঝলমল আলোয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছে মানুষ।
দিগন্ত জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকৃতি যেন হলুদ শাড়ী পরিধান করে আছে। হলুদের চাদর মোড়ানো সরিষা ফসলের মাঠ। সরিষা ফুলের মম গন্ধে ভরে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। মূলত আমন ধান কাটার পর বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার মূল্য চড়া হওয়ায় কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ,এই উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছর ১৬০ হেক্টর জমিতে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩০ হেক্টর জমিতে গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা একটু বেশি।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, শ্রীপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে বরমী তেলিহাটি ও গোসিংগাতে। এ উপজেলার কৃষকরা বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন।
তেলিহাটি ইউনিয়নের কৃষক রবিউল জানান, বিনা ৭, বিনা ৯ ,বারি ১১, বারি১৪ ও বারি ১৬ জাত সহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের সরিষা অল্প খরচে স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় তিনি সরিষা আবাদ করেছেন। দেশীয় উন্নত জাতের এসব সরিষা প্রতি একরে পাওয়া যায় ১৮ থেকে ২০ মণ। আর প্রতি মণ সরিষার বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। এবার ভালো ফলনে অধিক লাভের আশা করছে তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার বন্যা জানান, জমিতে সরিষা চাষ করলে সরিষার ফুল ও সরিষা ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। যা পরবর্তীতে বোরো আবাদে অধিক ফলন পেতে সার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া রান্নাতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ হবে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
আরএক্স/