ইসলামী ব্যাংকের ক্ষুদ্র বিনিয়োগে সফল উদ্যোক্তা লাভলী বেগম


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২২ অপরাহ্ন, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৩


ইসলামী ব্যাংকের ক্ষুদ্র বিনিয়োগে সফল উদ্যোক্তা লাভলী বেগম
লাভলী বেগম - ছবি: সংগৃহীত

লাভলী বেগম ফল চাষে একজন সফল উদ্যোক্তা। পরিবারে স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সম্মানও এনেছেন এই সফল ফল চাষী। টাঙ্গাইলের মধুপুরের লাভলী বেগম ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় ফল চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। লাভলী বেগম ও তার স্বামী মো. কিতাব আলী'র পরিশ্রমে পরিবারে ফিরেছে সুখের ছোঁয়া।


২০১৩ সালে লাভলী বেগম ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) এ সদস্য হন। ফল চাষের জন্য তিনি ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ গ্রহণ করেন। এই ক্ষুদ্র বিনিয়োগই তাকে সফলতার পথে পাথেয় হয়। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে জমি ইজারা নেন লাভলী বেগম ও তার স্বামী মো. কিতাব আলী। এই জমিতে ফলাতে শুরু করেন তার সপ্ন চাষ করেন আনসার, কলা, লেবু, মাল্টা, কমলা ও পেঁপেসহ নানাবিধ ফসল। 


ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করতে শুরু করেন লাভলী বেগম। সাফল্যের সোনার হরিণ হাতে পান তিনি ছেড়ে দেন ইজারা নেওয়া জমি, নিজেই ক্রয় করেন ৬ বিঘা জমি। একটার পর একটা সফলতার সপ্ন বুনতে থাকেন মধুপুরের উঁচু ও উর্বর জমিতে। 


সবসময় সফলতার সারথি হয়ে ইসলামী ব্যাংক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প লাভলীর পাশে আছে। লাভলীর স্বামী মো. কিতাব আলী ছিলেন তার সাহসের সারথি। কিতাব আলী ফল গাছের যত্ন, সার ও কীটনাশক দেওয়া এবং ফল বিক্রি করেন। লাভলীর খামারে ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। খামারের জন্য ক্রয় করেছেন মোটর পাম্প। কিতাব আলী নিজের জন্য একটি মোটরসাইকেলও কিনেছেন। 


চাষের জমি না থাকা লাভলী-কিতাব দম্পতি এখন ৬ বিঘা ফসিল জমির মালিক। থাকেন পাকা বাড়িতে সন্তানদের সুশিক্ষিত করেছেন। নিজেকে এখন সুখী মনে করেন লাভলী বেগম। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ধীরে ধীরে সামনে আরও অগ্রসরমান হতে চান তিনি।


আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘টাউন হল মিটিং’


১৯৯৫ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে লাভলী বেগমদেরমত লাখ লাখ গ্রামীণ দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে সফল উদ্যোক্তায় রূপান্তর করেছে। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পটি ইসলামী ক্ষুদ্র বিনিয়োগে বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। প্রকল্পটি জামানত মুক্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছে। পাশাপাশি প্রকল্পের সদস্যদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করা হয়। প্রকল্পের সদস্যদের স্যানিটেশন, চিকিৎসা সহায়তা ও সন্তানদের উপবৃত্তি দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং বৃক্ষরোপণ করা হয়। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প ২০১২ সাল থেকে শহরের দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য নগর দারিদ্র্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করে। 


আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন


পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের কিস্তি আদায়ের হার ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ৯৪ শতাংশই নারী যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগের ধাপগুলো সফলভাবে বয়বহার করা গ্রাহকেরা ব্যাংকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্কিমের আরও বড় বিনিয়োগ পেতে পারে।


জেবি/এসবি