জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৩


জাতীয় ভিটামিন  ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার মহাখালী জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেছেন। এ সময়  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। জাহিদ মালেক বলেন একটা সময়ে ভিটামিন ‍‘এ’র অভাবে শিশুদের রাতকানা (অন্ধত্ব) রোগের ভয়াবহতা থাকলেও এখন তা শূন্যের কোটায় নেমেছে। মন্ত্রী বলেন, পচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক নানা জটিলতা থেকে মুক্তি মেলে।


এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়, দেশের সব জায়গায় ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশুকে  ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর ভিতরে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপুসল খাওয়ানো হবে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন এই কর্মসূচি হাতে নেন সে সময় চার শতাংশের বেশি শিশু ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে অন্ধুত্বসহ নানা রোগে ভুগতো। বর্তমানে পুষ্টির মান বাড়ায় সেটি ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।


তিনি বলেন, পৃথিবীর ভিতরে একমাত্র বাংলাদেশই কালাজ্বরের প্রকোপ থেকে মুক্ত হয়েছে, একইভাবে ফাইলেরিয়াও। আমরা মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যে অনেকটা এগিয়েছি। পূর্বের তুলনায় মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। এটি আরও কমাতে হলে বাল্যবিয়ে র্নিমূল করতে হবে। একজন অপ্রাপ্ত বয়সের অসুস্থ মা সন্তান জন্ম দিলে অপরিণত ও কম ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে।  প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ক্লিনিক ও হাসপাতালে যেন যায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


মন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র আট ঘণ্টার সার্ভিসে হাসপাতালগুলো চলতে পারে না। এগুলো ২৪ ঘণ্টা করার উদ্যোগ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বাড়বে, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমে যাবে। একই সাথে অহেতুক কেউ যেন সি-সেকশন না করায় সেদিকেও জোর নজর দিতে হবে। হাসপাতালে বিশেষ করে দেশের সব উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে। নার্সের ঘাটতি আগের মতো না হলেও চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে বেশ খানিকটা। এজন্য নতুন করে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।


এমএল/