পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:০১ অপরাহ্ন, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩


পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ
পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ / ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা নেমেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে এ তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি গনমাধ্যমকে জানান প্রথম শ্রেণির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাসেল শাহ।


তিনি জানান, শুক্রবারের (১৫ ডিসেম্বর) থেকে তাপমাত্রা অনেক কমেছে। এদিন সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমে আসবে সামনের দিকে ।


বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় যে, ভোরের হালকা কুয়াশা ভেদ করে সূর্য মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠছে। সূর্য কিরণ ছড়ালেও সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত। এ অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষেরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহায়ে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ এলাকার পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের। 


শীতের গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত জেলার এই মানুষগুলো। এ জন্যই নিম্নবিত্তরা শহরের ফুটপাতের দোকান থেকে নিজেদের সাধ্যের ভিতরে কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।


গ্রামের নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও অনেক ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে থাকে। সকালে সংসারের কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যায়।


চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত পড়ছে। খুব সকালে প্রচণ্ড হিমশীতের ভিতরেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এ সময় শীতের জন্য হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী আর করার, জীবিকার তাগিদেই কাজ করতে হচ্ছে। একই ভাষ্য নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া পাথর শ্রমিকদেরও।


পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর এ জেলায় শীত অনেক বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।  নিম্ন আয়ের মানুষ, প্রকৃত গরীব, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।


এমএল/