বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩


বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব
ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এই সবই হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হবে। 


শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।  বিজয় দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিভিন্নভাবে সন্মানীত করা হয়।


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, “বঙ্গবন্ধু শুধু মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাই নয়, তিনি এই দেশকে কেমন করে নির্মিত করতে হবে এবং দেশের চেহারাটা কেমন হবে তাও নির্ধারণ করে গেছেন।”


তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধ ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।”  


তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল সারা জীবনের। আমরা দেখেছি অতিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খন্ডিত করা হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মানীত করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে পরিচয় দিতে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতেন। সেই জায়গা থেকে আজকে আমরা বেড়িয়ে এসেছি।”


তিনি বলেন,  “৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬, সালের ছয়দফা, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ সালের নির্বাচন এবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।”


আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসের মহান বিজয় দিবস উদযাপন


মুখ্যসচিব বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সরকার ছিল সবচেয়ে দক্ষ সরকার। এত শক্তিশালী সরকার আর কোথাও ছিল না। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি সেক্টরে হাত দিয়েছিলেন। তিনি যেমন শহরকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তেমনি গ্রামকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কোথাও তিনি বৈষম্য করেননি। আজকের বর্তমান সরকারও বৈষম্য করেনি, গ্রাম ও শহরকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। ”


তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩৪ বছরে জীবনে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন- শুধু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজের জন্য।”


আরও পড়ুন: একই প্রতীক একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করলেই লটারি


বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। 


সভা শেষ হলে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


জেবি/এসবি