শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠার নিয়ম


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৩


শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠার নিয়ম
ছবি: সংগৃহীত

শীতের সকালে কুয়াশা জড়ানো ঠান্ডায় লেপ বা কম্বলের ভিতর থেকে যেন বের হতেই মন চায় না। এমন আরাম রেখে আর কে-ই বা উঠতে চায় বলেন। কিন্তু মানুষের এই ব্যস্তময় জীবনে আপনি চান বা না চান, প্রতিদিন নিয়মকরে খুব ভোরেই ঘুম থেকে জাগতে হবে! আর এই নিয়েই যত ধরনের গড়িমসি বা আলসেমি। তাই যেহেতু খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেই হবে, এজন্য জেনে নিতে হবে কিভাবে ভোরবেলা চোখ থেকে ঘুম বিদাই করবেন। আর সকালে ওঠার বহুবিধ সুবিধাও আছে।


জেনে নিন সে সমস্ত নিয়মগুলো:


পায়চারি করুন- ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় পায়চারি করুন। পায়চারি করে এসে বিশ্রাম নিতে নিতে এক কাপ চায়ের সাথে বিস্কুট কিংবা সামান্য মুড়ি খেতে পারেন। বিশ্রাম শেষ করে গোসল করে নিন। ফলে শরীরটা অনেক হালকা ও ঝরঝরে হয়ে যাবে। এবার নাস্তা সেরে কাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন। এই প্রক্রিয়ায় নিয়মিত কয়েকদিন অভ্যাস করুন। দেখবেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার মজাটাই আলাদা।


কতটা আগে উঠতে চান আগে সেটা ঠিক করুন- আপনি ঠিক করেছেন সকাল ছয়টায় উঠতে চান। কিন্তু কোনোভাবে আপনি রাতে ভাবলেন যে আজ সাড়ে পাঁচটায় উঠলে ভালো হয়। আর এখানেই ভুল করছেন। ঠিক যখন উঠতে চান, সেটাই চিন্তা করে রাখুন। মন কোনোভাবে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলে আপনার ঘুমে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটবে। দেখবেন হয়তো ছয়টায় ওঠার জায়গায় আপনার চারটার সময় ঘুম ভেঙে গেল। তখন আবারো ঘুমালেন, এবার উঠলেন অনেক দেরি করে।


ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না- ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে বলে মনের ওপর অতিরিক্ত পেসার দেবেন না। বারবার যদি ভাবেন সকালে দ্রুত উঠতে হবে তাহলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। ফলে ঘুমাতে দেরি হবে, আর পরদিন তাড়াতাড়ি ওঠার সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে।


ঘরে ভিতর সূর্যের আলো আসার ব্যবস্থা রাখুন- সকালে যেন ভালোমতো সূর্যের আলো বা রোদ এসে পড়ে সে দিকে নজর দিন। ঘর যত অন্ধকার থাকবে, ঘুম থেকে উঠতে ঠিক ততটাই দেরি হবে।


প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার একটা নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে রাখুন- কাজ আছে বলেই তাড়াতাড়ি উঠতে হবে, কাজ নেই বলে একটু বেশি ঘুমাতে হবে। এমন নিয়ম তৈরি না করাই ভাল হবে।


অ্যালার্ম ক্লকের সাউন্ড স্বাভাবিক মাত্রাই রাখুন- অ্যালার্ম ক্লক বা ফোনের অ্যালার্ম রিং ঘুম থেকে সঠিক সময়ে ওঠার একটা বড় মাধ্যম। তবে যদি অ্যালার্ম তীব্র শব্দে বাজে, আর এটা শুনেই খারাপ লাগবে আপনার। এমন অ্যালার্মে ঘুম বারবার ভাঙবে ঠিকই কিন্তু হুশ আসবে না একদমই।


প্রথমেই ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন।


ঘুম ভাঙার পরে খাট থেকে নেমে একটু হাঁটাচলা করুন। আর দুই থেকে তিন মিনিট হাঁটলে ঘুমঘুম ভাবটা একেবারে কেটে যাবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে যোগব্যায়ামের অভ্যাস করুন, বেশকিছু যোগব্যায়াম আছে যার ফলে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে।


এমএল/