পেইনকিলার কাদের জন্য ক্ষতিকর?


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, ২০শে ডিসেম্বর ২০২৩


পেইনকিলার কাদের জন্য ক্ষতিকর?
ছবি: সংগৃহীত

যে কোনো ধরনের তীব্র ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পেইনকিলার খেয়ে থাকেন সবাই। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। আর এটি ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে বেশ কাজ করে। তবে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে আপনার জন্য পেইনকিলার সেবন নিরাপদ নয়। এজন্য সেগুলো সম্পর্কে জানা এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরি। নিজের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য কখন কখন পেইনকিলার খাওয়া যাবে না তা আগেই জেনে নিতে হবে। তবে চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-


১. লিভার অথবা কিডনিতে সমস্যা


লিভার বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেইনকিলার খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে যাদের আইবুপ্রোফেনের মতো অ্যাসিটামিনোফেন বা ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ আছে। এই ওষুধ আগে থেকেই শুরু হওয়া সমস্যাগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। নির্দেশনা অনুযায়ী না নেওয়া হলে এটি আরও বিপদের দিকে নিয়ে যেতে পারে।


২. গর্ভবতী মায়েদের জন্য


গর্ভবতী মায়েদের পেইনকিলার খাওয়ার জন্য গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত, কারণ কিছু ওষুধ বিকাশকারী ভ্রূণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর কিছু পেইনকিলার, বিশেষ করে NSAIDs ভ্রূণের বিকাশের পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে পেইনকিলার গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট পর্যায়ে এড়ানো উচিত।


৩. ওষুধে অ্যালার্জি 


আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট পেইনকিলারে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই ওষুধটি এড়ানো বাধ্যতামূলক। অ্যালার্জির সমস্যা ত্বকে ফুসকুড়ির মতো হালকা লক্ষণ থেকে শুরু করে অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো মারাত্মক জীবন-নাশের অবস্থা পর্যন্ত তৈরি করতে সক্ষম। তবে আপনি যদি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ অনুভব করেন, যেমন শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া বা ফুলে যাওয়া, এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


৪. গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে 


রক্তপাতজনিত সমস্যা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা হার্টের সমস্যার মতো নির্দিষ্ট রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পেইনকিলার এড়ানোর বিশেষ প্রয়োজন হতে পারে। NSAIDs রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং পেটের আস্তরণে যন্ত্রণা তৈরি করতে পারে, আবার কিছু পেইনকিলার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতেও পারে। তাই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের টিপস নিন।


৫. অন্য ওষুধের সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকলে


যে পেইনকিলার আপনি সেবন করছেন এতে অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিপদজনক মিথস্ক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে সেবন করা অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র চিকিৎসকই ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবেন যে এই ওষুধগুলো আপনার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে কি না।


৬. সদ্য অপারেশন করা হলে


যদি অল্প কিছুদিন আগেই আপনার কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে তবে পেইনকিলার সেবনে বিশেষ সতর্ক হোন। কারণ অস্ত্রোপচারের পরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই ব্যাথা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা দিয়ে থাকেন। তিনি ওষুধ লিখে দিতে পারেন এবং জটিলতা প্রতিরোধ করতে বা নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করতে নির্দিষ্ট পেইনকিলার এড়ানোর পরামর্শ দিতে পারেন। ফলে সার্জারির পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন সুস্থ থাকুন।


এমএল/