আশুলিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৩


আশুলিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
ছবি: জনবাণী

কেএম সবুজ: ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বড় রাঙামাটি শ্মশানঘাট এলাকায়  সাইফুল, রসুল ওরফে রাসেল নামের মাটি খেকো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খাস ও ফসলি জমির মাটি খনন করে সরকারি খালের একাংশ ভরাট করেছে। পরে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বেদখলকৃত খাল অবমুক্ত করেন। এসময় একটি মাটি খননের বেকুও জব্দ করা হয়। 


বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।


আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারাবারি গ্রেফতার


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইফুল ও শিমুলিয়ার রণস্থল পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত ফেদা বেপারীর ছেলে রসুল ওরফে রাসেল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মালিকানা ফসলি জমিসহ পাশ্ববর্তী খাস জমির মাটি খনন করে সরকারি খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। এতে করে একদিকে চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী খালটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছিলো। অন্যদিকে মালিকানা জমিসহ খাস জমির মাটি খননের ফলে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। এতে করে ওই জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। 


এছাড়া বৃষ্টির সময়ে পানিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওরা অনেক টাকা পয়সার মালিক, ওদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এর আগেও একবার ম্যাজিস্ট্রেট এসে মাটি কাটা বন্ধ করেছিলো। আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে অভিযান করে খালটি অবমুক্ত করেন। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং তারা যেন আর এধরনের কাজ না করতে পারে।


আরও পড়ুন: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিল বিএনপি


মাটি খেকো রসুল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আমার সঠিক কাগজপত্র আছে এবং তা নিয়ে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করছি এই বলে ফোনটি কেটে দেন। 


শিমুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়ে বাঁধা প্রদান করি এবং সতর্ক করে দেই। তারা আমাদের নির্দেশনা না মেনে সরকারী খালটি দখলের চেষ্টা করে।


এব্যাপারে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুর রহমান জনবাণীকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মধ্যপাড়া খালের এই অংশটি অবমুক্ত করা হয়। এ কাজে জড়িত কাউকে না পেয়ে মামলার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা একটি মাটি কাটা বেকুও জব্দ করা হয়।


অভিযান পরিচালনার সময়ে পুলিশের পাশাপাশি ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মচারী মোতায়েনরত ছিলো।


আরএক্স/