কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের আর কখনো ফেরা হবে না!


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৭ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের আর কখনো ফেরা হবে না!
শিক্ষক -শিক্ষার্থী। ফাইল ছবি

বছর প্রায় শেষের দ্বারপ্রান্তে। গুটি কয়েক রাত পোহালেই ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ এর পথচলা শুরু। নানান অর্জন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি আর প্রাপ্তির বিপরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) চিরতরে হারিয়েছে গুণী শিক্ষক আর একজন কৃতী শিক্ষার্থীকে।   


নতুন বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকবে কুবি ক্যাম্পাসের প্রতিটা প্রাঙ্গন। বুনা হবে অজস্র সব স্বপ্ন, এগিয়ে যাবে লক্ষ্যের তরে। কিন্তু তাদেরকে আর কখনো ক্যাম্পাসে দেখা যাবে না। পড়বে না আর কখনো তাদের পদচিহ্ন। বই-খাতাসহ শিখা আর শেখানোর নেশায় মত্ত চরিত্র দেখা যাবে না কখনো। তারা হারিয়ে গেছেন, হারিয়ে গেছেন বহুদূরে চিরতরে। পৃথিবীর সীমান্ত অতিক্রম করে না-ফেরার দেশে।


আরও পড়ুন: ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে: প্রধানমন্ত্রী


আর কখনো না ফেরার মৌন মিছিলে যোগ দেওয়া সবচেয়ে বড় নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজা।

 

গত ২০শে জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ঐদিন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 


পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট তাকে সর্বদা স্মরণীয় করে রাখতে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবিতে বিভাগের একটি ল্যাব ওই শিক্ষকের নামে নামকরণ করা হয়। তিনি শিক্ষাজীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে ২০১৭ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে শুরুতে প্রভাষক এবং পরবর্তীতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


এই বছরে সর্বশেষ বিদায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অনিক।


আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ


গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফেসবুক আইডিতে "ভালো থাকিস সবাই। এ দায়ভার কারও না। একান্তই আমার।" লিখে স্টোরি শেয়ারের পর তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। কুমিল্লা শহরের টমছম ব্রিজ এলাকায় নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক অবস্থায় আত্মহত্যা বলা হলেও তার মৃত্যুর কারণ আজও অস্পষ্ট। 


মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়লে হয়তো তাদের শিক্ষাবান্ধব স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ক্যাস্পাস আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠতো। শিক্ষার্থীরাও হারিয়েছে একজন সহপাঠী, বড় ভাই এবং একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে। ওপারে ভালো থাকুক সবসময় কুবি থেকে হারিয়ে যাওয়া তাঁরা।


আরএক্স/