থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিএমপির ১২ নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। এ উপলক্ষে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষ উদযাপনে থার্টিফার্স্ট নাইটে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশ নেয়। তবে এ আনন্দ উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ঐতিহ্য বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। কিছু লোক পটকাবাজি, আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করে। ক্ষেত্র বিশেষে প্রকাশ্যে অভদ্র ও আপত্তিকর আচরণ করে থাকে কেউ কেউ। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকলকে নির্দেশনা মেনে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১. ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না।
২) উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৩) কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।
৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ৮টার টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরবেন এবং রাত ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর
৬) গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮ টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এসব এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৭) একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।
৮) হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোন যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
৯) গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফেরার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: গরিব লোকেরাই দেশে বেশি টাকা পাঠায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।
১১. আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
১২. ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
জেবি/এসবি