মৎস্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর


Janobani

জান্নাতুর রহমান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩


মৎস্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর
ছবি: জনবাণী

মৎস্য অধিদফতরের ২০ তম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ মো. আলমগীর।


রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের  যুগ্ম- সচিব হেমায়েত হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও জরিপ) কে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব  প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত  এ আদেশ অবিলম্বে ৩০ ডিসেম্বর কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। 


প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী,  শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় মৎস্য অধিদফতরের  সম্মেলন কক্ষে  তিনি আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ শেষে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


এ সময় তিনি বলেন, ডিজি কোন ব্যক্তি নয়, এ পদটি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠান  সুনামের সহিত আরো  এগিয়ে যাবে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে এ প্রতিষ্ঠানের  সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।


তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার । তারই পথ অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আমি আশা করি আমরা আমাদের মেধা ও যোগ্যতাকে সঠিকভাবে  কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে পরিণিত হবে।    


জানা যায় এর আগে তিনি মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও জরিপ) এবং অভ্যন্তরীণ মৎস্য পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ঢাকা), উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), মৎস্য অধিদফতরে উপপরিচালক (প্রশাসন) দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ মো. আলমগীর ১৯৯৫ সাল থেকে বিভাগীয় প্রশিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটনে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন। 


আরও পড়ুন: গরিব লোকেরাই দেশে বেশি টাকা পাঠায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সৈয়দ মো. আলমগীর ১১ তম বিসিএস-এ মৎস্য ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে ১৯৯৩ সালে মৎস্য অধিদফতর যোগদান করেন। তিনি ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৭ সালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ দিবস উপলক্ষে নির্বাচিত শ্লোগান ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেবে বাংলাদেশ’ এর রচয়িতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যক্তি অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক পান। পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য অধিদফতরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু ফিশারিজ পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।


আরও পড়ুন: বিএনপি খুনিদের পার্টি আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের: শেখ হাসিনা


তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৮১ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ হতে ১৯৮৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে মৎস্য বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে ¯স্নাতক ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮৮ সালে ফিশারিজ টেকনোলজি বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি  ব্যক্তি জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।


জেবি/এসবি