পদ বড় না হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করাটাই বড়: পলাশ মোল্লা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, ৩রা জানুয়ারী ২০২৪
এ.কে.এম.মুজাহিদুল ইসলাম: শিক্ষা শান্তি প্রগতির বন্ধনে আবদ্ধ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একটি জীবন্ত ইতিহাস। বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা এবং স্বাধিকার অর্জনের কান্ডারীর ভূমিকা পালনকারী আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই সংগঠনটি যার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রা শুরু করে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই: সিইসি
একঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে গৌরব ও সৌরভ ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নবযাত্রা শুরু করেছিল ছাত্রলীগ। হাটি হাটি পা পা করে দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায়, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নে, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনায় এবং গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রাম বাস্তবায়নে। জনপ্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে এভাবেই বলছিলেন রাজধানীর ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্ক।
তার শুরুটা ছিল ছাত্রলীগের একজন কর্মী এবং সমর্থক হিসেবে কাজের মধ্য দিয়ে। জাতির পিতার হাতে গড়া প্রিয় সংগঠনটিকে ভালোবেসে এবং প্রধানমন্ত্রী ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রলীগের নব উদ্যোগে পথচলায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে এক অন্যরকম অনুভূতি ও ভালোলাগা কাজ করে ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি অর্কর মাঝে। জনবাণীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "পদ বড় না হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করাটাই বড় হওয়া উচিত। ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ পরিবার। যেখানে সকলে মিলে কাজ করার মাঝে রয়েছে অন্যরকম এক আনন্দ।"
একজন সাধারন কর্মী থেকে শুরু করে ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সাবেক ১নং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিবেদিত প্রাণ হিসেবে দীর্ঘ তের বছর ধরে একটানা সময় দেয়া শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী এই সংগঠনে এখন তিনি ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তবে যেকোন কাজে নেতা হিসেবে নয় বরং সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে সবার আগে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তারণ্যদীপ্ত এই ছাত্রলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: নতুন আলোতে, নতুন স্বপ্ন
দেশের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। দেশের সমগ্র স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে বর্তমান সরকার। শিক্ষা, শিল্প, অর্থনীতিসহ এমন কোন খাত নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন অতি পরিচিত একটি রাস্ট্র এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত।
সংগঠনের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারবেন এমন প্রশ্ন ছিল পলাশ মোল্লা অর্কর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামে জীবন দিতেও প্রস্তুত তিনি। ছাত্রলীগের মত বৃহৎ একটি সংগঠনের সদস্য হিসেবে বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকারের মাঝে জীবনের স্বার্থকতা বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক ঝাঁক মেধাবী তরুণদের নিয়েই এই সংগঠনের পথচলা এবং তারাই এর চালিকাশক্তি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ওয়াকিল উদ্দিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিনরাত ছুটে চলেছেন অর্ক ও তার কর্মী বাহিনী। ক্লান্তি কিংবা শীতের তীব্রতা কোনটাই কাবু করতে পারেনি তারণ্য নির্ভর ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের। জয়ের ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, আসছে ৭ জানুয়ারী ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে ভুল করবেন না। মো. ওয়াকিল উদ্দিন নির্বাচিত হলে অত্র এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যোগ্য লোকেরাই দক্ষতার সাথে কাজ করতে সক্ষম।
দেশের স্বার্থে এবং উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, এক সময়কার তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিশ্ব মানচিত্রে এক অন্যতম গুরত্বপূর্ণ রাস্ট্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ- এমনই দৃড় বিশ্বাস তার।
আরএক্স/