আনন্দ ও শান্তিময় হোক ২০২৪

নতুন আলোতে, নতুন স্বপ্ন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪০ অপরাহ্ন, ১লা জানুয়ারী ২০২৪


নতুন আলোতে, নতুন স্বপ্ন
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের আজ প্রথম দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। অন্য সবার মতো আমরাও আমাদের দেশ-বিদেশের অগণিত পাঠককে জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। ইংরেজি নতুন বছরটি সবার জীবন থেকে অতীতের সক কষ্ট দূর করে দিয়ে আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক-এটাই প্রত্যাশা।


আজ সোমবার (০১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটি যেন সমাজজীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সব গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে দেয়। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।


আরও পড়ুন: নতুন বছরে দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা


নতুন বছর সবার মধ্যে জাগিয়ে তোলে আশা, সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি মুক্ত স্বাধীন শান্তিময় বিশ্ব। বাংলাদেশের জন্য অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, শোষণ-দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির ধাক্কা সামলে দেশের উন্নয়নের গতি ঠিক রাখা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে এনে মানুষের জীবনের চাপ কমিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক, মানবিক, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন বছরে দেশের উত্তরণ ঘটবে, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমিয়ে দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে-এটাই নতুন ইংরেজি বছরে সবার প্রত্যাশা।


দেশবাসীকে নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশও প্রস্তুত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।’ বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক খ্রিষ্টীয় নববর্ষে এই প্রত্যাশা করে সাহাবুদ্দিন বলেন, নববর্ষ সকলের মাঝে জাগিয়ে তুলে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা।  খ্রিষ্টীয় নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ।


আরও পড়ুন: ২০২৪ সালকে বরণ করল নিউজিল্যান্ড


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আজ আমরা যে সময়কে পেছনে ফেলে নতুন দিনের আলোয় উদ্ভাসিত হতে যাচ্ছি, সে সময়ের যাবতীয় অর্জন আমাদের সম্মুখ যাত্রার শক্তিশালী সোপান হিসেবে কাজ করছে। তাই নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণের সোপান রচনা করার অনুপ্রেরণা।’


গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছর সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্ন। বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ পালনের ধরন বাংলা নববর্ষ পালনের মতো ব্যাপক না হলেও এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়। করোনা মহামারি কাটিয়ে ২০২২ সাল ছিল বাংলাদেশের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো, শিক্ষাব্যবস্থার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।


জেবি/এজে