সকালে খাবার না খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:০২ অপরাহ্ন, ১০ই জানুয়ারী ২০২৪
আমরা নিজেকে ও পরিবারকে ভালোরাখার জন্য কাজের পেছনে হন্নি হয়ে ছুটে বেড়াই। সারাবেলাই লেগে থাকে অনেক ব্যস্ততা। কিন্তু দিনের শেষে আমাদের কতটুকু ভালোথাকা নিশ্চিত হয়? প্রতিদিনের ন্যায় একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ফেরা, এরপর আবার বাড়ির কাজে লেগে যাওয়া। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের জীবন। কিন্তু একবারো কি ভেবে দেখেছেন, নিজেকে ভালো রাখার জন্য সত্যিই আপনি কতটুকু করেছেন? সবাই এখন এতটাই ব্যস্ত থাকি যে সকালের নাস্তাটাও ঠিকমতো খাওয়া হয় না।
বেশিরভাগ মানুষই রাতের খাবার খায় অনেক দেরি করে, অযথা রাত জেগে চোখের নিচে কালি ফেলে আর চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমের পরে ছোটে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে। সকালে তাড়াহুড়োর কারণে নাস্তাটা খাওয়ারও সময় পান না অনেকে। এই যে অপর্যাপ্ত ঘুম আর সকালের খাবার না খাওয়া, আর এ ধরনের অভ্যাস আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়া বেশ জরুরি। প্রতিদিন সকালেই পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে দিনটি শুরু করতে হবে। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে
পুষ্টিবিদদের মতে, আপনি যদি প্রতিদিন সকালের নাস্তা বাদ দেন তাহলে তা স্বাস্থ্যের উপর ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।এ থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, দেখা দিতে পারে মানসিক সমস্যাও। আর এর প্রভাব পড়তে পারে আপনার দৈনন্দিন রুটিন এবং কর্মদক্ষতার ওপর। সকালে যদি পেট ভরে খাবার না খান তাহলে সারাদিনই ক্লান্ত লাগবে এবং এর ফলে একটা সময় মাথাও ঠিকমতো কাজ করবে না। এর প্রভাব পড়বে আপনার বিপাক ক্রিয়াতেও।
অনেকে পরিমাণে কম খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালের খাবার বাদ দেন। কিন্তু ফলে কি সত্যিই ওজন কমে? একদমই না। বরং সকালে না খাওয়ার কারণে দুপুরে একসাথে আরও বেশি খাবার খেয়ে ফেলা হয়। যে কারণে ওজনও বাড়তে থাকে খুব দ্রুত। ওজন কমাতে গিয়ে ফল হয়ে যায় উল্টো। তাই এ বাঝে অভ্যাস কখনোই করবেন না। সকালে না খাওয়ার ফলে আপনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সেইসাথে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ, দেখা দিতে পারে হৃদরোগের মত কঠিন রোগ।
আরও পড়ুন: ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডিম
সকালের নাস্তায় অনেকেই ডিম রাখে। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিমে প্রোটিনের পাশাপাশি সেলেনিয়াম এবং কোলিনের মতো পুষ্টি উপাদানও থাকে। নিয়মিত ডিম খেলে তা হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনার সকালের নাস্তায় অবশ্যই একটি ডিম রাখবেন।
মুগডালের তৈরি খাবার
বেসন ও মুগ ডাল দিয়ে তৈরি খাবার যেমন গোলারুটি সকালে খাওয়া যেতে পারে। মুগ ডাল অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে বিদ্যমান কপার, ফোলেট, ভিটামিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি-৬, নিয়াসিন, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম,। যে কারণে এই ডাল শরীরের জন্য খুবই ভালো খাবার।
আরও পড়ুন: গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ওটস
বর্তমানে সকালের নাস্তায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওটস। এটি দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা খুব সহজ। আপনার সকালের নাস্তার নিয়মিত অংশ করে নিতে পারেন ওটসকে। এতে থাকে প্রচুর ফাইবার। এই উপাদান হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। সকালে একবাটি ওটস দিয়ে নাস্তা করলে সারাদিন আপনি ভরপুর শক্তি পাবেন।
বাদাম
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা করলে শুরুর দিকেই থাকবে বিভিন্ন বাদামের নাম। আপনার সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন বাদাম। এতে থাকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। সেইসঙ্গে আরও থাকে ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম। এগুলো শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো বাদাম খাবেন না। প্রতিদিন একমুঠো খেলেই যথেষ্ট।
এমএল/