ধামরাইয়ে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪


ধামরাইয়ে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
ছবি: জনবাণী

ঢাকার ধামরাইয়ে চলতি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার শত শত কৃষকরা। ক্ষেতে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনই বলে দেয় কৃষকের মুখে মুখে কতটা হাসি। শীতকালীন সবজির এমন সবুজ ক্ষেতের দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ছে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সবজি চাষের মাঠে।


মাচায় মাচায় ঝুলছে লাউ, শিম, পটল, শসা, শ্রীসিংগা, ধুন্দুল, ঝিঙা ও করলা। কোথাও আবার ওলকপি, বাধাকপি,ফুলকপি,বেগুন,লাল শাক, ধনেপাতাসহ নানা রকমের নতুন নতুন শীতের সবজি। এমন সবজি ক্ষেতের সবুজ রঙের দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ছে উপজেলা জোরেই।


আরও পড়ুন: গুইমারায় মৌসুমহীন শিম চাষে সফলতায় কৃষকের মুখে হাসি


উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবছর ধামরাইয়ে ২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত সবজি উৎপাদনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রান্তিক এসব কৃষকেরা। তারা বলছেন প্রকৃতি সহায় হলে সবজি চাষে ভালোই লাভবান হবেন তারা। 


উপজেলায় ব্যপক হারে বাণিজ্যিক ভাবে সবজি চাষ হওয়ায় এ সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। এ এলাকার সবজির মান ভালো হওয়ায় সবজি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে সবজি ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে বলে জানা যায়। আবার কৃষকরা নিজেরাও স্থানীয় পাইকারি বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে নিয়ে গিয়ে এই সবজি বিক্রি করছে।এতে স্থানীয় কৃষকরা দেখছেন লাভের মুখ। তেমনি ক্রেতারা টাটকা সবজি পেয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন।

 

এ বছর বন্যা না হওয়াতে আগাম সবজি চাষে বেশী লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখে অনেক আগাম সবজি চাষ করেছেন। তাদেরও ফলন ভালো হওয়ায় তারাও আগাম সবজি বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছেন।আর এইসব শীতকালীন সবজি তুলতে কৃষকদের সাহায্য করছেন তাদের সহধর্মিণীরা। আবার ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক কৃষক নিজেই।


এ বিষয়ে এক জন কৃষক জানান তিনি একশ শতক জায়গায় ঝিঙা,কহি, লাউ, শিম ও ফুলকপির চাষ করেছি। আমার এখানে এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, আমি আশা করছি এখান থেকে আমার প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত সবজি বিক্রি হতে পারে।


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আগাম ধানের চারা রোপণ শুরু 


আরো একজন কৃষক জানান আমি আঠারো শতক জাগায় বেগুনের চাষ করেছি। এখান থেকে প্রতিদিন আমি প্রায় তিন মন করে বেগুন বিক্রি করব বলে আশা রাখি। আমার ধারণা এখান থেকে আমি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করব।


এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, এবার ধামরাই উপজেলায় ২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গার চাইতে ধামরাই কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও আমরা উপজেলার অনেক কৃষককে আগাম সবজি চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম এবং পরামর্শ দিয়েছিলাম তারা ইতিমধ্যেই তাদের আগাম সবজি বাজারে বিক্রি করেছেন এবং প্রত্যেকেই লাভবান।


আরএক্স/