পুরান ঢাকার আকাশ ছেয়েছে ফানুশ-আতশবাজিতে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৮ অপরাহ্ন, ১৪ই জানুয়ারী ২০২৪


পুরান ঢাকার আকাশ ছেয়েছে ফানুশ-আতশবাজিতে
ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে  ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা আর গান-বাজনার তালে সাকরাইন উদযাপন করছেন পুরান ঢাকাবাসী। সারাদিম ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি আর রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে সাকরাইন উৎসবকে আরও আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করেছেন পরান ঢাকার বাসিন্দারা। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধরাও এ উৎসবে শামিল হয়েছেন। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেছেন তারা। চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।


পুরান ঢাকা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারা দিনঘুড়ি উড়িয়ে রাতের  বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙ ফানুশে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ। 


এক ধরনের ঘুড়ি উৎসবেই সাকরাইন  বলা হয়।  দেশে শীত মৌসুমের বাৎসরিক উদ্‌যাপন, ঘুড়ি উড়িয়ে পালন করা হয়। তবে পুরান ঢাকায় পৌষসংক্রান্তি বা সাকরাইন সার্বজনীন ঢাকাইয়া উৎসবের রূপ নিয়েছে।


পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা করিম মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, সাকরাইন মূলত পৌষ সংক্রান্ত উৎসব। আমাদের বাপ-দাদারা করে আসছে, এখন আমরাও করছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাকরাইন এখন পুরান ঢাকার সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছি সারাদিন। রাতে পারিবারিকভাবে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাতে আমরা আতশবাজি, ফানুস ওড়ানোসহ বারবিকিউ পার্টির সঙ্গে সবাই মিলে নাচানাচি করব এবারের সাকরাইনে।


আরও পড়ুন: পৌষসংক্রান্তি, পুরান ঢাকায় সাকরাইন উৎসব শুরু


জানা গেছে, পুরান ঢাকার জামাইরা পৌষ মাস শেষে দিকে এলেই শ্বশুরবাড়ি আসতেন। তখন তারা ঘুড়ি ও নাটাই নিয়ে উৎসবে মাততেন। সব বাড়ির জামাই ঘুড়ি ওড়ালে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে তা দেখতেন এলাকাবাসী। কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য এখন চোখে পড়ে না।


আরও পড়ুন: সাকরাইন উৎসব আজ


আরও জানা যায়, ১৭৪০ তারিখে আজকের এই দিনে মোঘল আমলে নাজিব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খান আমলে ঘুড়ি উড়ানো হয়। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এটি একটি কেন্দ্রের ও আমেজের মধ্যে পরিণত হয়েছে এবং সেটি সাকরাইন উৎসব হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিন,  বংশাল, শাঁখারীবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, রায়সাহেব বাজার,  গেন্ডারিয়া, ধোলাইখাল এলাকায় মানুষ সারাদিন ঘুড়ি উড়ার পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ না করে সবাই এই পালন করে থাকে।


জেবি/এসবি