লাল চুম্বকনগরী চুয়ান্ন বছরে জাবি
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ই জানুয়ারী ২০২৪
লাল ইটের নগরী স্বাধীনতার ঘোষণার পূর্বে মোঘল ইতিহাসের সম্রাটের নামে খোচিত,
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব মানচিত্রের প্রাচীন নগরীতে।
পরিযায়ী পাখি,প্রাকৃতিক লেক, ভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি, নানান পর্বভুক্ত ছোট বড় প্রাণী,
রঙ বেরঙের প্রজাপতি, নানান অঞ্চলের মানুষের সমাহার।
শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কমকর্তা,কর্মচারী এক আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ অমলিন শিক্ষা-দীক্ষা,
গবেষণা ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক,ধর্মীয় সম্প্রতি,
সেবার মনোভাব ও ক্রিড়াঙ্গনে এক অনন্য এই শিক্ষানগরীর প্রতিটি প্রাণ।
তবুও মান অভিমান, তবুও ভালোবাসার টানাপোড়েন, তবুও হতাশা, তবুও শত যন্ত্রণা।
কিন্ত থেমে থাকে না এই নগরীর রাস্তাঘাটের জনজীবনে গড়ে উঠা
প্রতিটি সচেতন ও অসচেতন মানব মানবী,জীবনযুদ্ধে তারা ছুটে চলে
দেশদেশান্তরে রূপ রূপান্তরে বিশ্বমঞ্চে,অদ্ভুত তাদের আন্তঃসম্পর্ক চেনা ও অচেনা
হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্যে, এ যে বিরল সম্পর্ক, ইর্ষণীয় সমাজে।
একজনের সুখে দুঃখে বিপদে আপদে কি অলৌকিক শক্তির টানে
বাদবিবাদ মতামত ভুলে,
জাগো বাগে কোনঠে সবায় এমনি সোচ্চার কন্ঠে ঐক্যের নিশান তুলে অধিকার আদায় করে,
যা বিরল সম্পর্কের ইতিহাস; বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল নগরীর রাজপথে জাগ্রত আছে,
সময়ের পরিক্রমায় বয়োবৃদ্ধ ও নবাগত তারুণ্যের মাঝে।
অগ্রজ,অনুজ,শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, গুনীজনের নিকট অর্জিত ইতিবাচক শিক্ষা,
অনেকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে সারাজীবন থাকে সারগর্ভ অভিধানের ন্যায়, তথ্যপ্রযুক্তির স্মার্ট বাংলাদেশে।
চায়ের আড্ডা, গানের আসর,মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠান, খেলার মাঠের জমজমাট,
ক্লাসরুমের খুনসুটি, হল জীবনের নানান স্মৃতি
চির ভাস্বর সোনালী অতীতের দ্যুতি।
কপোত-কপোতী, প্রেমিক- প্রেমিকার নানান ইতিহাস
পাওয়া না পাওয়ার পলিটিক্সে
আজও স্বপ্ন অনেকের জীবনে,
জীবন যাচ্ছে চলে জীবনের স্রোতে।
স্বপ্ননগরী, লাল ইটে সকলের সম্মিলিত সোনার বঙ্গ গড়ার স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রেখো যুগ যুগ ধরে শ্বাস ও প্রশ্বাস হয়ে,
ভালো থেকো, ভালো রেখো
প্রতিটি দিবসে প্রতিটি জীবনকে
আলোআঁধারির রহস্যময়তায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তুমি সদাজাগ্রত, মানবিকতায় তুমি অনন্য।
লেখক
মো. ফরহাদ আলী শুভ
শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপ সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ]